সিংহভাগ শেয়ারে হাহাকার, বীমার রমরমা

0
118
শেয়ার বাজার

প্যারামাউন্ট এবং ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর আরও বেড়েছে। আগের দুই সপ্তাহে ৫০ শতাংশ দরবৃদ্ধির পর গতকাল বৃহস্পতিবার আরও ১০ শতাংশ হারে দর বেড়ে উভয় কোম্পানির। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে দুটি কোম্পানির বাজার দর উঠেছে যথাক্রমে ৬৮ টাকা ৩০ পয়সা এবং ৯৯ টাকা পয়সা। প্রচলিত সার্কিট ব্রেকারের নিয়মানুযায়ী গতকাল এর থেকে বেশি দরে কেনাবেচার সুযোগ ছিল না। যদিও লাখ লাখ শেয়ারের ক্রেতা চাহিদার বিপরীতে এ দুই শেয়ারের কোনো বিক্রেতা ছিল না।

শুধু এ দুই কোম্পানি নয়, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স নামের অন্য এক বীমা কোম্পানির শেয়ারও এ দলে যোগ দিয়েছে। গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রায় সাতশ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর অর্ধেকই বীমা খাতের। দরবৃদ্ধির শীর্ষ ২০ শেয়ারের ১৫টিই ছিল বীমা খাতের শেয়ার।

বীমার শেয়ারে যখন রমরমা তখন তালিকাভুক্ত ৩৯২ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে গতকালও ২৩২টি বেধে দেওয়া সর্বনিম্ন দরে পড়ে ছিল। এসব শেয়ারের কোনো ক্রেতা ছিল না। ফ্রি-ফ্লোট হিসেবে এসব শেয়ারের অংশ মোটের ৭৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এসব শেয়ারধারীদের মধ্যে হাহাকার অবস্থা। কম দামে শেয়ার বিক্রি করতে চাইলেও বিক্রি করতে পারছেন না। বীমা খাতের ফ্রি-ফ্লোট শেয়ার সাড়ে ৬ শতাংশেরও কম।

পর্যলোচনায়র দেখা গেছে, এ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৩১৯ কোম্পানির ৬৯৭ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বীমা খাতের ৫৫ কোম্পানিরই শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৪০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের পৌনে ৪৯ শতাংশ। খাতওয়ারি লেনদেনে এটিই ছিল সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতের, যা মোট লেনদেনের সোয়া ১১ শতাংশ। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে বিবিধ খাতে, যা মোটের সোয়া ৫ শতাংশ।

দরবৃদ্ধির তালিকা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ৫ থেকে প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত দরবৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ১০ শেয়ারের মধ্যে বীমা খাতের শেয়ার ছিল আটটি। দরবৃদ্ধির শীর্ষ ২০ কোম্পানির তালিকার ১৫ শেয়ার ছিল এ খাতের। বীমার বাইরে গতকাল সাড়ে ৬ শতাংশ দর বেড়ে এ তালিকার অষ্টম স্থানে ছিল মিডল্যান্ড ব্যাংক। সাড়ে ৫ শতাংশ দরবৃদ্ধি নিয়ে দশম অবস্থানে ছিল ইউনিয়ন ক্যাপিটাল।

সার্বিক হিসাবে ডিএসইতে ৫৮ শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৯৭টির দর কমেছে এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৬৪টির। ক্রেতার অভাবে বাকি ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি। অবশ্য বীমা খাতের ৫৭ কোম্পানির মধ্যে ৫৫টির কেনাবেচা হয়েছে।  ৩৮ শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১১টির দর কমেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.