ভোটে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে ইসি

0
27
নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। তবু কোনো মন্ত্রী ও এমপি (সংসদ সদস্য) ভোটে প্রভাব বিস্তার করেন কি না, তা কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি করা হবে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে মন্ত্রীদের নিবৃত্ত করতে পেরেছে ইসি। তবে এখনও এলাকায় অনেকে আছেন। কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার না করেন, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিইসি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৭ জন সদস্য থাকবেন। স্পর্শকাতর কেন্দ্রে থাকবেন ১৯ জন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বুধবার। এ দিন ১৪০ উপজেলায় ভোট হবে। এই প্রস্তুতি জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। নানা কারণে এখন ১৪০ উপজেলায় নির্বাচন হবে। ইভিএমে ভোট হবে ২২ উপজেলায়। ৫ উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত এসব বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রোধে সাইবার নজরদারি শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থা।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। মঙ্গলবার সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রথম ধাপে আজ ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার রাতে পুলিশের ৮৩ হাজার সদস্য মাঠে নেমেছে। শুক্রবার পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে তারা দায়িত্ব পালন করবে। এর পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে ২ হাজার ৮২০ জন সশস্ত্র আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে আরও ২ হাজার ২৮৮ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে র‍্যাব ও বিজিবির পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.