মেয়াদ কম হওয়ায় এ নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ কম থাকতে পারে : আরাফাত

0
107
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত, গুলশান মডেল হাই স্কুল ও কলেজ কেন্দ্র

অল্প দিনের মেয়াদ হওয়ায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কম থাকতে পারে মনে করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তিনি বলেন, ভোটারদের ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করাকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তাঁরা। তবে তাঁর বিশ্বাস, ভোট দিতে আসা মানুষেরা নৌকা প্রতীকেই ভোট দেবেন।

আজ সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর এসব কথা বলেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। এই কলেজে মোট পাঁচটি ভোটকেন্দ্র।

৫-৬ মাস মেয়াদের জন্য নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের অনীহা থাকে উল্লেখ করে আরাফাত বলেন, ‘এখানে আমরা অনুপ্রেরণা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আগ্রহী করার চেষ্টা করছি। আশা করছি যথেষ্ট পরিমাণ ভোট আমরা সংগ্রহ করতে পারব।’

আওয়ামী লীগের মনোনীত এই প্রার্থী আরও বলেন, আমরা শুধু বলছি ভোট দেন, ভোট দেন, ভোট দেন। আমরা এটাও বলছি না যে নৌকায় ভোট দেন। কারণ আমরা জানি মানুষ ভোট দিতে আসলে ভোট নৌকায় পড়বে। কারণ ডানে-বামে, সামনে-পেছনে চারদিকে শুধু নৌকার ভোট। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে মানুষকে ভোট দিতে নিয়ে আসা‌।

ভোটারদের কম উপস্থিতির বিষয়ে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, সকাল বেলায় কয়েকটা জায়গায় ঘুরেছি এবং খোঁজ নিয়েছি। সকাল বেলায় একটু বৃষ্টি পড়েছে। এ কারণে ভোটের টার্ন আউট (ভোটার উপস্থিতি) একটু কম হয়েছে। আপনারা হয়তো গুলশান বনানী বারিধারার ভোটকেন্দ্র দেখেছেন, সেখানে এমনিতেও একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠে এই এলাকার ভোটাররা ভোট দিতে আসেন। কিন্তু কালাচাঁদপুর, নর্দা—ওইসব এলাকায় ভোটার অনেক আসছে। ভাসানটেকে, কড়াইলে ভোটার অনেক এসেছে। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ মনে হচ্ছে।

কেমন ভোট পড়েছে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, লাইন দেখে মনে হচ্ছে ভালোই ভোটার আসছে। এক্জাক্ট ফিগার বলতে পারব না।
জয়ের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী বলেন,  নৌকা বিজয়ী হবে। এর তো কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশে।

অন্য প্রার্থীর কলিং এজেন্ট না থাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এ  আরাফাত বলেন, এখানে ১২৪ টা সেন্টার আছে। আমার ধারণা ৬০০ এর মতো বুথ আছে, এজেন্ট ৬০০ তো  মিনিমাম লাগবে। একজন এজেন্ট প্রতিটা বুথে সারা দিন, এটাতো আবার চেঞ্জ করতে হয়। শুধু এজেন্টের কথা চিন্তা করলে ১২ শ তো নিদেন পক্ষে লাগে, সাংগঠনিক শক্তি যদি না থাকে হয়তো পারে না অনেক ক্ষেত্রে। সে ক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নাই। তবে আওয়ামী লীগের তো সেই সাংগঠনিক শক্তি আছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.