মেট্রোরেলে ঘুরতে দ্বিতীয় দিনেও উত্তরা স্টেশনে মানুষের ভিড়

0
116
সকাল ৮টায় মেট্রোরেল চলাচল শুরু হওয়ার আগ থেকেই স্টেশনে মানুষের দীর্ঘ সারি। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরা উত্তর স্টেশনে

গত বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সেদিন তিনি নিজে, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ অনেকে ট্রেনে চড়েন। পরবর্তী সময় গতকাল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ট্রেন।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে যাত্রীদের সারি। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরা উত্তর স্টেশনে

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে যাত্রীদের সারি। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরা উত্তর স্টেশনে

সকাল সাড়ে ৮টার দিক সরেজমিন দেখা যায়, উত্তরা উত্তর স্টেশনটির সামনে দুটি প্রবেশপথ। এই দুই প্রবেশপথ ধরে দোতলায় উঠে ভেন্ডিং মেশিনে টাকা পরিশোধ করে কার্ডের মাধ্যমে মেট্রোরেলের টিকিট কাটা হয়। এর মধ্যে দুটি প্রবেশপথের সামনেই যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন দোতলায় যাওয়ার। ১০ কি ১৫ মিনিট পরপর ৩০-৪০ জনকে যেতে দেওয়া হচ্ছে। এরপর দোতলায় উঠে আবার লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ডের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

প্রায় ৪০ মিনিট রাস্তায় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে দোতলায় ওঠার সুযোগ পান কায়সার হামিদ নামের এক ব্যক্তি। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান। দোতলায় উঠে আবার ‘কার্ড বা টিকিটের’ জন্য লাইন ধরতে হবে দেখে কিছুটা হতাশ। অবশেষে ট্রেনে চড়তে পারছেন ভেবেই তাঁর আনন্দের শেষ নেই। হাসিমুখে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে, কখনোবা ভেন্ডিং মেশিনের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন একসঙ্গে।

কায়সার হামিদ বলেন, ‘একবার এখান থেকে ট্রেনে আগারগাঁও যাব, আবার এখানে আসব। আগারগাঁওয়েও এভাবে লাইন ধরতে হবে। আজকে সারা দিন এভাবেই যাবে ধরেই বাসা থেকে বের হইছি। একটু কষ্ট হচ্ছে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা, তবে তাতেও আনন্দ।’

কায়সার আরও বলেন, ‘এত দিন শুধু বাইরের দেশের মেট্রোরেলের কথা শুনেছি। এখন আমাদের দেশেও আছে। এটা ভাবতেই তো ভালো লাগে। তাই সব ব্যস্ততা ফেলে সবাইকে নিয়ে চলে এসেছি।’

এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় বাড়ছে বলে জানান প্রবেশপথে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, ট্রেনে চড়তে আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকেই মানুষ জড়ো হতে থাকে। ৮টায় ট্রেন চালু হলে মানুষের লাইন কমে যায় অনেকটা। কিন্তু এরপর সময় বাড়ার সঙ্গে ক্রমেই বাড়তে থাকে মানুষ। এখন লাইন চলে গেছে অনেক দূর।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.