টেকনাফে ৫ কৃষক অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

0
56
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে স্থানীয় পাঁচ কৃষককে অপহরণ করেছে অস্ত্রধারীরা। ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে অপহৃতের পরিবার।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় অপরহরণকারীরা।

অপহৃতরা হলেন-হ্নীলা ৪নং ওয়ার্ডের পানখালী এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২), শাহাজানের ছেলে জিহান (১৩), ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে শাওন (১৫), আব্দুর রহিমের ছেলে মো. নুর (১৮) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দু রহমান (১৫)।

জানা গেছে, তারা প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে ফসলের খেত পাহারা দেওয়ার জন্য পাহাড়ে যান তারা। কিন্তু সেহরি খেতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর নিতে শুরু করে অপহৃতদের পরিবার। পরে জানতে পারে তারা অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের মুক্তি পেতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা।

অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, অপহরণের খবরটি শুনেছি। অপহৃতদের উদ্ধারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ।

এদিকে মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃত রফিকের বড় ভাই মো. শফিকের কাছে মুঠোফোনে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এ বিষয়ে শফিক বলেন, রফিক প্রতিদিনের মতো জুম চাষে পাহাড়ে যায়। কিন্তু আজকে সেহরি খেতে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হই। পরে জানতে পারি তাদের পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফোনে মুক্তিপণ চেয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে অস্ত্রধারীরা।

অপহৃত মো. নুরের মা খোরশিদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে অস্ত্রধারীরা ধরে নিয়ে গেছে। তবে কে বা কারা নিয়ে গেছে এখনও জানা যায়নি। মোবাইলে একটি নম্বর থেকে ফোন করে ছেলের মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। আমরা খুব গরিব মানুষ, এত টাকা কীভাবে জোগাড় করবো। ছেলেকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাই।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, অপহরণে বিষয়টি আমাকে কেউ এখনও জানায়নি। এরপরও আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।

এর আগে গত ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।

এদিকে সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক ১০৩টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে যারা ফিরে এসেছে তাদের বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.