আফগানিস্তানকে হারিয়ে আবারও র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে পাকিস্তান

0
110
দ্বিতীয়বার আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠল পাকিস্তান।

আবারও আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান। আজ আফগানিস্তানকে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে হারিয়ে এক নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে টপকে গেছে বাবর আজমের দল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠল পাকিস্তান।

এর আগে গত এ বছরের মে মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে প্রথমবারের মতো র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা করেন বাবররা। তবে দুই দিন পরই তাদের দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে হয়েছিল।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতে রেটিং পয়েন্টে (১১৮) অস্ট্রেলিয়াকে ছুঁয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। এককভাবে শীর্ষে উঠে যেতে জয় দরকার ছিল তৃতীয় ওয়ানডেতে। আজ কলম্বোয় বাবরের দল সেই জয়টি তুলেছে বড় ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৮ রান তোলে পাকিস্তান। রান তাড়ায় ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানিস্তান শেষ পর্যন্ত ২০৯ রান পর্যন্ত পৌঁছায়। ৫৯ রানে ম্যাচ জিতে আফগানদের ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছে বাবরের দল।

প্রেমাদাসার বোলিং-বান্ধব উইকেটে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ছিল দুটি পর্ব। প্রথম ৩০ ওভারের মধ্যে উইকেট মাত্র দুটি গেলেও পাকিস্তান তুলতে পারে মাত্র ১০৩ রান। তবে পরের বিশ ওভারে ১৬৫ রান যোগ করে তারা। আড়াইশোর্ধ রানের পুঁজি গড়ে দেওয়ার কাজটি করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে পাকিস্তান পায় ১৪৫ বলে ১১০ রান। ফিফটিও তুলে নেন দুজনই। বাবর ৮৬ বলে ৬০ রান করে রশিদ খানের বলে আউট হওয়ার পর ছোটখাটো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। ২ উইকেটে ১৬২ থেকে ৬ উইকেটে ১৮৯ রানে পরিণত হয় স্কোর। যার মধ্যে ফেরেন ৭৯ বলে ৬৭ রান করা রিজওয়ানও।

পাকিস্তানকে শেষ দিকে ভালো সংগ্রহের দিকে নিয়ে যায় আগা সালমান-মোহাম্মদ নওয়াজের জুটি। সপ্তম উইকেটে এ দুজন ৫৩ বলে যোগ করেন ৬১ রান।

রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান শুরুটা করে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে। তবে উইকেটের আচরণ তাতে উল্টো বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফাহিম আশরাফ, শাদাব খানদের পেস-স্পিনে জেরবার হয়ে ৬১ রানে চতুর্থ আর ৯৭ রানে সপ্তম উইকেট হারায় তারা। এরপরও যে আফগানিস্তানের রান শেষ পর্যন্ত দুই শ পেরিয়ে গেছে, অবদান তাতে মুজিব উর রেহমানের। শাহিন আফ্রিদির বলে হিট উইকেট হওয়ার আগে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে ৬৪ রান করে যান মুজিব। ৫টি করে চার ও ছয় মারা মুজিব এর আগে কখনো ১৮ রানের বেশিই করতে পারেননি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

৫০ ওভারে ২৬৮/৮ (রিজওয়ান ৬৭, বাবর ৬০, সালমান ৩৮*, নওয়াজ ৩০; নাইব ২/৩৬, ফরিদ ২/৭০)।

আফগানিস্তান: ৪৮.৪ ওভারে ২০৯ (মুজিব ৬৪ , কামাল ৩৭, রিয়াজ ৩৪; শাদাব ৩/৪২, শাহিন ২/৩১, আশরাফ ২/৪৩)।

ফল: পাকিস্তান ৫৯ রানে জয়ী।

সিরিজ: পাকিস্তান ৩–০ ব্যবধানে জয়ী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.