এবার সফরে আসছেন দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান

0
180
কংগ্রেসম্যান রিক ম্যাক্রোরমিক (বাঁয়ে) ও এড কেইস

রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে বাংলাদেশে মার্কিন কর্মকর্তাদের একের পর এক সফরের মধ্যেই এবার আসছেন দেশটির দুই কংগ্রেসম্যান। বাইডেন প্রশাসনই তাদের পাঠাচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পাশাপাশি তারা বৈঠক করবেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও। কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কংগ্রেসম্যানদের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের পাঠাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অর্থ ঠিকমতো ব্যবহার হচ্ছে কিনা, তা দেখতে আসছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা অর্থায়নে অন্যতম বড় দাতা। আর এ কংগ্রেসম্যানরা এসব অর্থায়ন কমিটিতে রয়েছেন। ফলে তাদের অর্থ কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে তা দেখবেন কংগ্রেসম্যানরা।

আগামী ১২ আগস্ট চার দিনের সফরে আসছেন দুই কংগ্রেসম্যান। তাদের একজন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক দলের, আরেক জন রিপাবলিকান। তাদের সঙ্গে সহায়তাকারী কর্মকর্তারাও আসছেন।

বাংলাদেশে নেমে প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করবেন তারা। আগামী ১৩ আগস্ট কংগ্রেসম্যানদের কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরআরসি), জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। পর দিন দুই কংগ্রেসম্যান আরআরআরসি ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর ঢাকায় এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তারা।

ঢাকা সফরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাদের। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তাদের বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।

নাম না প্রকাশের শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দুই কংগ্রেসম্যানের একজন রিপাবলিকান দলের জর্জিয়ার কংগ্রেসম্যান রিক ম্যাক্রোরমিক এবং অন্যজন হাওয়াইয়ের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান এড কেইস।

কংগ্রেসম্যানদের সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেন, এ সফরের পরিকল্পনা নিয়ে তথ্য নিশ্চিত কিংবা অস্বীকার কোনোটাই করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে তথ্য নিশ্চিতে কংগ্রেসম্যানদের কার্যালয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়।

তাসনিম মহসিন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.