হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

0
111
খালেদা জিয়া

চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার বিকেলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান আজ রাত সোয়া আটটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বের হয়ে সন্ধ্যায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান খালেদা জিয়া। গুলশানের বাসা থেকে রওনা হওয়ার সময় সেখানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সর্বশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এর আগে গত বছরের ২৮ আগস্ট তাঁকে একবার এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এভারকেয়ার হাসপাতালেই গত বছর তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে একটি রিং পরানো হয়েছিল। চিকিৎসকেরা তখন তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে আরও দুটি ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিলেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন জানান, প্রতি মাসে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড কিছু পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছে। সে পরামর্শ অনুযায়ী, তাঁর স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করা হবে।

২০২১ সালের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর একই বছরের জুন পর্যন্ত তাঁকে পাঁচ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন। সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে দুটি শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছিল ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। তখন দেশে করোনা মহামারি চলছিল। এর পর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

সর্বশেষ গত ২৩ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে দুটি শর্তে তাঁর মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এবারও বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং বিদেশ যেতে না পারার দুটি শর্তই বহাল রাখা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.