সাবেক ব্যাংকারের ৫৪ বছর কারাদণ্ড, জরিমানা পৌনে দুই কোটি টাকা

0
113
টাকা- প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে গ্রাহকের ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এই রায় দেন।

দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ বলেন, নগরের ইস্টার্ণ ব্যাংক চান্দগাঁও শাখার সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ব্যবস্থাপক ইফতেখার কবিরকে ৫৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা জরিমানা, তাঁর সহযোগী লাবিবা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড ও ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা, জুলেখা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের আবদুল মাবুদকে সাড়ে ৬ বছরের কারাদণ্ড ও ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, মাহমুদ হাসানকে সাড়ে ৬ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আজম চৌধুরীকে সাড়ে ৬ বছরের কারাদণ্ড ও ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

কাজী ছানোয়ার আহমেদ আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, নগরের চান্দগাঁওয়ের বাসিন্দা সালাউদ্দিন নামের এক গ্রাহক, তাঁর দুই মেয়ে ও ছেলের নামে ১১টি স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রাখার প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাঁর কাছ থেকে কয়েকটি চেকে সই নিয়ে নেন ইস্টার্ণ ব্যাংকের চান্দগাঁও শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক ইফতেখার কবির। পরবর্তী সময়ে জাল সইয়ের মাধ্যমে অন্যান্য আসামির সহায়তায় তাঁদের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১৫ সালে এফডিআর খোলার কথা বলে কৌশলে গ্রাহকদের কাছ থেকে কয়েটি চেকে সই নিয়ে নেন ইফতেখার। অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার ফরমেও সই নিয়ে নেওয়া হয়। পরে ইফতেখার তাঁর সহযোগীদের মাধ্যমে কৌশলে গ্রাহকদের ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাদী হয়ে মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই রায় দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.