লাঠি‌সোটা নি‌য়ে ব‌রিশাল নগরমুখী ইসলামী আন্দোলন কর্মীরা

0
98
সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন

বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার খবরে দলটির বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক বরিশাল নগর অভিমুখে রওনা হয়েছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দপদপিয়া সেতু বন্ধ করে দেওয়ায় তারা শহরে প্রবেশ করতে পারেনি। তারা সেতুর অপরপ্রান্তে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন।

সোমবার সকাল ৮টা থেকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১২৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ২নং ওয়ার্ডের কাউনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমকে প্রবেশ করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে তার ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটি।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে চরমোনাই মাদ্রাসার ছাত্ররা লাঠিসোটা নিয়ে বরিশাল শহরের দিকে রওনা হন। বেলতলা খেয়াঘাট বন্ধ থাকায় সড়কপথে প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে তারা বরিশাল শহরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের অনেকের হাতেই লাঠিসোঁটা দেখা যায়।

এদিকে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকদের বরিশাল শহরে আসার খবরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দপদপিয়া সেতুতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারলেও দলটির কর্মী-সমর্থকদের শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

দপদপিয়া ব্রিজ ছাড়াও বিভিন্ন প্রবেশপথ (গড়িয়ারপার, কালিজিরা ব্রিজ) থেকে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকরা শহরে ঢুকে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আফজালুল করিম।

তিনি অভিযোগ করেন, তারা লাঠিসোটা নিয়ে শহরে ঢোকার পায়তারা করছে। একত্রিত হয়ে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে তারা নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে। তাদের মারধর করা হয়েছে বলেও তারা গণমাধ্যমকে জানাচ্ছে।

ইসলামী আন্দোলনের মিডিয়া সেলের সদস্য কে এম শরীয়ত উল্লাহ জানান, মানিক মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যলয় এবং এ কাদের চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে হাতপাখার পুলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে প্রার্থী ফয়জুল করিম সকাল সাড়ে ৯টায় সেখানে যান। তিনি দুটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহতি করেন। এরপর তিনি মানিক মিয়া স্কুলের বিপরীতে কাউনিয়া বালিকা বিদ্যালয়ে ঢুকতে গেলে নৌকার কর্মীরা বাধা দেন।

শরীয়ত উল্লাহর অভিযোগ, এ সময় প্রার্থীর গাড়িবহরে থাকা হাতপাখার কর্মীদের নৌকার কর্মীরা মারধর করেছেন। এসব অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে রিটানিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, ২নং ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে হাতপাখার প্রার্থী দলবল নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.