যেমন ছিল লিটনের গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট

0
108
৪৫ বলে ৫৯ রান করে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন লিটন, ছবি: ইনস্টাগ্রাম

৭ ইনিংসে ১৫২ রান, গড় ২১.৭১, স্ট্রাইক রেট টেনেটুনে ১০০—গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাসের পরিসংখ্যান। লিটন কি এই পরিসংখ্যানে খুশি হবেন? বোধ হয় না। কারণ, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান যে এখনই পার করছেন ক্যারিয়ারের সেরা সময়। সেখানে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে ২১ গড় আর ১০০ স্ট্রাইক রেটে রান—খুশি হওয়ার তো কোনো কারণই নেই। সেটা কানাডার উইকেট কিছুটা বোলিং–সহায়ক হলেও।

লিটনের অবশ্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেই কিছুটা ছন্দপতন হয়েছিল। সিলেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লিটন রান করেছিলেন ১৯ বলে ১৮। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৫ রান করেছিলেন সত্যি, তবে ঠিক সাবলীল ব্যাটিংটা করতে পারেননি। ভালো শুরুর পর সেই ম্যাচে লিটনের ইনিংস থামে ৩৬ বলে ৩৫ রানে। এরপর গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতেও সাবলীল লিটনকে দেখা যায়নি।

প্রথম ম্যাচ থেকেই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করতে হিমশিম খেয়েছেন লিটন। তাঁর টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল সাকিব আল হাসানের মন্ট্রিয়ল টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। সেই ম্যাচে ১১ বলে ৯ রান করে সাকিবের বলে আউট হন লিটন। এর পরের দুই ম্যাচেও লিটন সেরাটা দিতে পারেননি। ক্রিজে সেট হয়েও খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। টরন্টো ন্যাশনালের বিপক্ষে ২০ বলে ২১ করার পর মিসিসাউগা প্যান্থারসের বিপক্ষে করেন ৩০ বলে ২৫ রান।

প্রথম ম্যাচ থেকেই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করতে হিমশিম খেয়েছেন লিটন
প্রথম ম্যাচ থেকেই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করতে হিমশিম খেয়েছেন লিটন, ছবি: ইনস্টাগ্রাম

তবে টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ ম্যাচে জ্বলে উঠেছিল লিটনের ব্যাট। লিটনের ৪৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে ব্রাম্পটন উলভসকে ৬ উইকেটে হারায় সারে। এই ইনিংসের পর হয়তো অনেকেই ভেবেছিলেন, ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরছেন বাংলাদেশি ওপেনার। তবে সে ভাবনাটা ছিল ভুল। কারণ, টুর্নামেন্টে পরের তিন ম্যাচে ক্রিজে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি লিটন। টুর্নামেন্টের ফাইনালে সাকিবের মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১২ রান।

গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে লিটন ছাড়াও বাংলাদেশের আরেক প্রতিনিধি ছিলেন সাকিব। তিনি অবশ্য লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের দল গল টাইটানসের সঙ্গে চুক্তি থাকায় ৪ ম্যাচ খেলেই শ্রীলঙ্কায় গেছেন।

ব্যাট হাতে ৪ ম্যাচ খেলে সাকিব খুব একটা খারাপ করেননি। ব্যাটিং গড়টা খুব বেশি না হলেও স্ট্রাইক রেট ছিল চোখে পড়ার মতো। ৪ ইনিংসে সাকিবের রান ১০২, গড় ২৫.৫০ আর স্ট্রাইক রেট ১৫৪.৫৪। বল হাতে ৪ ম্যাচে সাকিব নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.