যুক্তরাষ্ট্রের মন গলাতে নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবে ভাষা বদল

গাজায় যুদ্ধবিরতি

0
109
জাতিসংঘ, ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা একটি প্রস্তাবের ওপর আজ মঙ্গলবার ভোট হতে যাচ্ছে। এই প্রস্তাবে যেন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ না করে, সে জন্য চলছে আলোচনা।

নিরাপত্তা পরিষদে সর্বশেষ এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গতকাল সোমবার। তবে তা এক দিন পেছানো হয়। প্রস্তাবে ‘গাজায় বাধাহীনভাবে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ করে দিতে জরুরিভিত্তিতে স্থায়ীভাবে সংঘাত বন্ধের’ আহ্বান জানানো হয়। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ওই প্রস্তাবের ভাষায় কাটছাঁট করে নতুন করে ‘জরুরিভিত্তিতে সংঘাত বন্ধের’ আহ্বান জানানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে এবং প্রস্তাবের অনুমোদনের বিষয়ে একটি সমঝোতায় আসতে ভাষায় আরও বদল আনা হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে আল–জাজিরার সংবাদদাতা গ্যাব্রিয়েল এলিজোনডো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলেছে, কোনো প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির মতো শব্দ ব্যবহার করা হলে তা শুধু হামাসকেই সুবিধা দেবে। ফলে আগের মতোই যুক্তরাষ্ট্র ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। আমাদের ধারণা, তাই তারা নতুন প্রস্তাবে ভাষাগত কিছু কাজ করছে।’

এর আগে ৮ ডিসেম্বর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। ওই প্রস্তাবের পক্ষে পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩টিই ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য। তবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করলে প্রস্তাবটি খারিজ হয়ে যায়।

পরে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে একই ধরনের একটি প্রস্তাব নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় অনুমোদন পায়। তবে সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া কোনো প্রস্তাব মানার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।

গাজায় প্রতি ঘণ্টা, প্রতি দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদে ভোট মঙ্গলবার পর্যন্ত পেছানোর অর্থ হলো, প্রস্তাবের ভাষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব সম্ভবত এটা করা হয়েছে এক বা একাধিক দেশের ভেটো এড়ানোর জন্য।’

আল জাজিরা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.