মেসিকে ‘অপমান’ করা পিএসজি ‘আইফেল টাওয়ার পোস্টে রাখলেও কিছু জিততে পারবে না

0
94
সৌদি আরবে গিয়ে ছবিটি তুলেছেন লিওনেল মেসি

আন্তনিও মোহাম্মদ আর্জেন্টাইন ফুটবলে তেমন পরিচিত নাম নয়। আর্জেন্টিনার ১৯৯১ কোপা আমেরিকাজয়ী স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে ওই এক বছর খেলেছেন, মাত্র চার ম্যাচ। সাবেক এ স্ট্রাইকার পরে নেমে পড়েন কোচিং পেশায়।

ইন্দিপেন্দিয়েন্তেকে কোপা সুদামেরিকানা জিতিয়েছেন, স্প্যানিশ লা লিগায় সেল্টা ভিগোর দায়িত্বেও ছিলেন। আর এখন আছেন মেক্সিকোর ক্লাব ইউনিভার্সিদাদ ন্যাসিওনালের দায়িত্বে। লিওনেল মেসি ও পিএসজির সম্পর্কে ফাটলের খবর তাঁর কানেও পৌঁছেছে।

‘মেসিকে নিয়ে একদিন অনুশোচনায় পুড়বে পিএসজি সমর্থকেরা’

পিএসজিতে মেসির যে এটাই শেষ মৌসুম—তা এখন অনেকটাই নিশ্চিত। ক্লাবের অনুমতি না নিয়ে মেসি সৌদি আরবে যাওয়ার পর থেকেই জটিলতার শুরু হয়। আর্জেন্টাইন তারকাকে নিষিদ্ধ করেছে ফরাসি ক্লাবটি। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমই জানিয়েছে, মেসিকে নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেবে না পিএসজি। অর্থাৎ, প্যারিসে জুনে তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।

পিএসজির সমর্থকেরাও মেসিকে ‘ওভারেটেড’ বলে সমালোচনা ও বিক্ষোভ করেছেন। বিষয়টি মেসির জন্য অপমান বলে মনে করছেন অনেকে। আর্জেন্টিনার সাবেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হাভিয়ের মাচেরানো যেমন বলেছেন, ‘পিএসজির সমর্থকেরা এমন কাজের জন্য একসময় অনুশোচনা করবে।’

আর্জেন্টাইন কোচ আন্তনিও মোহাম্মদ
আর্জেন্টাইন কোচ আন্তনিও মোহাম্মদছবি: টুইটার

আন্তনিও মোহাম্মদ এতটা ভদ্রোচিত ভাষায় বলেননি। আরব বংশোদ্ভূত হওয়ায় আর্জেন্টিনায় তিনি ‘এল তার্ক’ (দ্য টার্ক) নামে পরিচিত। মোহাম্মদ সংবাদমাধ্যম ‘ওলে’র কাছে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন এভাবে, ‘এটা ফুটবলের প্রতি অপমান। এই তেতো লোকগুলো, যারা কখনো কিছু জিততে পারেনি, তারা যদি আইফেল টাওয়ার কিনেও গোলপোস্টে রাখে, তবু কিছু জিততে পারবে না। এটা খুবই অসম্মান। খেলোয়াড় ও তাঁর পরিবারকে এটা করা হয়েছে এবং সেটা জনসন্মুখে প্রকাশও করা হয়েছে।’

‘মেসি আসলে থাকার জায়গা দেখতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন’

মোহাম্মদ মনে করেন, মেসির এখন পিএসজি ছেড়ে চলে আসা উচিত, ‘আমার অবস্থান (পিএসজির) বিরুদ্ধে এবং আমি মনে করি ব্যাগ গুছিয়ে মেসির পরিবার নিয়ে চলে আসা উচিত। ব্যাগ হয়তো এখনই গোছানো আছে। সে কোথায় সুখে থাকবে, তা ভাগ্যই ঠিক করবে।’ মোহাম্মদ মনে করেন, এটাই মেসির জন্য সবচেয়ে ভালো হবে, ‘ফুটবল এবং তাঁর জন্য (পিএসজি ছাড়া) এটাই সবচেয়ে ভালো হবে। আমরা সবাই তাঁকে মাঠে হাসিমুখে দেখতে চাই। প্যারিসে সে সুখে নেই।’

মেসির সম্ভাব্য পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেন—তিনটি দেশের নাম উঠেছে। সৌদি আরবের ক্লাব আল–হিলাল নাকি বিপুল অঙ্কের পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মেসিকে। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিও তাঁকে কিনতে চায়। আর স্পেনের বার্সেলোনাও নাকি মেসিকে ফেরাতে চায়। মেসির পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হতে পারে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.