মহাসাগরে ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার কথা জানাল মার্কিন কোস্ট গার্ড

0
157
অনুসন্ধানী মার্কিন কোস্ট গার্ড

আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার দাবি করেছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর দেয়া হয়েছে।

গত রোববার (১৮ জুন) রাতে ডুব দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নিখোঁজ হয় সাবমেরিনটি। এরপর গত কয়েকদিন ধরে এর খোঁজে অভিযান চলছিল। এই অনুসন্ধানে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্ট গার্ড।

কোস্ট গার্ড এক ঘোষণায় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকাল ৩টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ২টায়) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে। 
 
কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হরাইজন আর্কটিকের একটি রিমোট অপারেটেড ভেহিকল তথা রোভ টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছেই সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার ও ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডেরিক নামে মার্কিন কোস্ট গার্ডের সিনিয়র দুই কর্মকর্তা। গত রোববার (১৮ জুন) আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে রওনা দিয়ে নিখোঁজ হয় সাবমেরিনটি।
 
সাবমেরিনটিতে পাইলটসহ ৫ আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ অভিযাত্রিক হামিশ হার্ডিং। বাকি দুজন পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ। তবে তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে— তা এখনও জানা যায়নি। মার্কিন কোস্ট গার্ডের সংবাদ সম্মেলনে সব স্পষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
 
তবে মার্কিন কোস্ট গার্ড যেহেতু সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে, সেক্ষেত্রে এর আরোহীরা টাইটানিক জাহাজের যাত্রীদের পরিণতিই বরণ করেছেন বলে ধরে নেয়া যায়।
 
১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করে টাইটানিক। প্রথম সমুদ্রযাত্রায় মাঝপথে বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী জাহাজটি। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
 
১৯৮৫ সালে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিকের সাড়ে ১২ হাজার ফুট নিচে এর ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়।
 
এরপর থেকেই বহু সংস্থা তা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছে। মাঝে মাঝেই পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয় সেই ধ্বংসাবশেষ দেখাতে। আট দিনের এ ভ্রমণের জন্য আড়াই লাখ ডলার খরচ করতে হয় পর্যটকদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.