মজুত থাকা গ্যাসে ১০ বছর চলবে

সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

0
118
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ/ পুরোনা সংগৃহীত ছবি

দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাসের মজুত রয়েছে তা দিয়ে ১০ বছর চলবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেলে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, নতুন আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র ইলিশার মজুতসহ দেশে বর্তমানে গ্যাসের প্রাথমিক মজুত ৪০ দশমিক ৪৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত ২৮ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ৩১ মে ২০২২ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৯৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন করা হয়েছে। ৮ দশমিক ৮২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট মজুত অবশিষ্ট রয়েছে। দৈনিক গড়ে ২ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় মজুত থাকা গ্যাসে ১০ বছর চলবে।

রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে এলএনজির ধারণক্ষমতা প্রতিটিতে ১ লাখ ৩৮ হাজার করে মোট ২ লাখ ৭৬ হাজার ঘনমিটার।

প্রতিমন্ত্রী জানান, কাতার ও ওমানের সঙ্গে পেট্রোবাংলার দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় বছরে ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্পট মার্কেট (আন্তর্জাতিক খোলাবাজার) থেকে চাহিদা অনুযায়ী এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ৩০ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এর আনুমানিক পরিমাণ ১ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ২০২৩ সালে স্পট মার্কেট থেকে ২১ কার্গো এলএনজি আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার আনুমানিক পরিমাণ ১ দশমিক ৩১ মিলিয়ন মেট্রিক টন।

প্রিপেইড মিটারের আওতায় দেশের ১২% বিদ্যুৎ গ্রাহক

দেশে মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের ১২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি জানান, দেশের ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি/সংস্থা এ পর্যন্ত ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪৫টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করেছে, যা মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের (৪ কোটি ৫১ লাখ) ১২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরও ২৭ লাখ ৩০ হাজার এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩১ লাখ ৩০ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৮ জন। বিগত অর্থবছরে (২০২১-২২ সাল) পল্লী বিদ্যুতের মোট ক্ষতি ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ সময়ে আয় রয়েছে ২৯ হাজার ১০৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, ব্যয় হয়েছে ২৯ হাজার ৬২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুতের সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

হাজি মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ১ হাজার ১৭৮ দশমিক ৮৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এর মধ্যে সৌরশক্তি থেকে আসছে ৯৪৪ দশমিক ৮৮ মেগাওয়াট।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.