বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম প্রায় তিন ঘণ্টায় ভোটার উপস্থিতি ও ভোটের পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন।
সিসি ক্যামেরা দেখে ও মাঠপর্যায়ের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ‘ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দের সঙ্গে ভোট দিচ্ছেন। আমরা আশা করি, অতীতের চেয়ে ভোটার উপস্থিতি বেশি হবে। যেভাবে সকালে দেখেছি, এখন পর্যন্ত যা দেখলাম, কথায় আছে মর্নিং শোজ দ্য ডে।’
আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ইভিএমে ধীরগতিও পরিলক্ষিত হচ্ছে না, কোথাও বিশৃঙ্খলাও নেই। দিন শেষে ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে তাঁরা আশা করছেন।
আজ সোমবার সকাল আটটায় প্রায় আট লাখ ভোটারের দুই সিটিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। দুই সিটিতে প্রতিটি ভোটকক্ষে ও প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বরিশালে ১ হাজার ১৪৬টি এবং খুলনায় ২ হাজার ৩১০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
রাজধানীর নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে বসে সিসিটিভিতে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।
সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে এত বেশি ভোটারের উপস্থিতি কল্পনার বাইরে বলে মন্তব্য করেন আহসান হাবিব খান। এটা তাঁদের শান্তি দিয়েছে বলেন তিনি। ইসির আগে নেওয়া পদক্ষেপ ভোটারদের আশ্বস্ত করেছে এবং তাঁদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে বলেন তিনি।
আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে বরিশাল সিটি নির্বাচনে এবং ইসির যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষক ১০ জন করে দুই দল সরেজমিন ভোটের পরিস্থিতি দেখছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন পরিস্থিতি সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। ইসি কর্মকর্তারাসহ সবাই মিলে এ পর্যন্ত সুন্দর নির্বাচন পরিচালনা করছে।
ইভিএম নিয়ে ভোটারদের কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি বলে জানান আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, ভোটার, প্রার্থী, পর্যবেক্ষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারও পক্ষ থেকে কোনো প্রকার অভিযোগ তাঁরা পাননি। শেষ পর্যন্ত সুন্দর নির্বাচন হবে বলে তাঁরা আশা করছেন।