বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ

0
111
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি

পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়ার খনি থেকে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। চলমান ফেইজে কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় বুধবার সকালে বন্ধ হয়ে যায় এ কার্যক্রম। নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর শেষ হলে আগামী অক্টোবরের শেষদিকে আবারও কয়লা উত্তোলন শুরু হতে পারে।

খনি কর্তৃপক্ষের মতে, আগামী দুই মাস কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকলেও বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আংশিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না।

কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক (চলতি দায়িত্ব) বলেন, গত ২৫ এপ্রিল শুরু হওয়া খনির ১১১৩ নম্বর ফেইজে মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় বুধবার কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ফেইজটি থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। এখন ১৪১২ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে। এ জন্য আগের ফেইজ থেকে সব ইকুইপমেন্ট সরিয়ে ১৪১২ নম্বর ফেইজে প্রতিস্থাপন করতে হবে। এতে দুই মাসের মতো সময় লাগবে। আগামী অক্টোবরের শেষদিকে কয়লা উত্তোলন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া বর্তমানে খনি ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার টনের মতো কয়লা মজুত রয়েছে। ওই কয়লা দিয়ে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট চালাতে আগামী দুই মাস কোনো সমস্যা হবে না।

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক জানান, ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিনটি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার তৃতীয় ইউনিটটি চালু রয়েছে। ওই ইউনিট থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১ নম্বর ইউনিটটি কয়লা স্বল্পতার কারণে ২০১৯ সাল এবং একই ক্ষমতার ২ নম্বর ইউনিটটি ওভার হোলিংয়ের জন্য গত মাস থেকে বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, তৃতীয় ইউনিটটি চালাতে প্রতিদিন ২ হাজার টনের মতো কয়লা লাগে। খনি ইয়ার্ডের মজুত ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দিয়ে বড় জোর ২ মাস চালানো যাবে একটি ইউনিট। তিনটি ইউনিট চালাতে গেলে প্রতিদিন ৫ হাজার মেট্রিক টনের মতো কয়লা প্রয়োজন। এত পরিমাণ কয়লা আমাদের নেই। তাই

তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র যেন বন্ধ হয়ে না যায় তার জন্য পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.