প্রাইভেট কারের সেই তরুণ–তরুণী মদ্যপ ছিলেন

0
120
এই তরুণ–তরুণীকে আটকের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়েছে পুলিশ

রাজধানীর মালিবাগে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে আটক তরুণ এবং সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার তরুণীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ওই তরুণ–তরুণী মদ পান করে অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন। তরুণটি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাঁরা পথচারীদের প্রতি মারমুখী আচরণ করেন।

রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সজল সাহা বাদী হয়ে গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটায় তরুণ–তরুণীদের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।

ওই মামলায় দুজনকে আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেছিল পুলিশ। অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। ঢাকার আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

গতকালের এ ঘটনার শুরু হয়েছিল রাত সাড়ে আটটার দিকে রামপুরা বাজার পার হয়ে। যানজটের মধ্যেই একটি কালো রঙের প্রাইভেট কার সামনের মোটরসাইকেলকে জোরে ধাক্কা দেয়। তার আগে একটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়েছিল ওই গাড়ি। ওই রিকশার আরোহী একজন নারী বলছিলেন, ‘এই গাড়ির ড্রাইভারের কি চোখ নেই, আমাদের মেরে ফেলবে?’ এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে সিগন্যাল ছেড়ে দিলে প্রাইভেট কারটি সামনের দিকে এগিয়ে যায়। মালিবাগ চৌধুরীপাড়া মোড়ে খিলগাঁওয়ের দিকে বাঁক নিতে গেলে যানজটে আটকা পড়ে যায় গাড়িটি।

তখন গাড়িটিকে আটকানো হয়। গাড়ির মধ্যে চুপচাপ বসে ছিলেন তরুণ চালক। পরে দেখা যায়, তাঁর পাশের আসনের পা রাখার জায়গায় অচেতন হয়ে পড়ে আছেন এক তরুণী। একপর্যায়ে পুলিশ এসে গাড়িটি জব্দ এবং ওই তরুণ–তরুণীকে নিয়ে যায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মাতাল অবস্থায় ওই তরুণ-তরুণী গাড়ি চালাচ্ছিলেন (গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তরুণ)। তাঁরা রাস্তায় পথচারীদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করছিলেন। পরে তাঁদের গাড়িসহ আটক করা হয়।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম  বলেন, মাতাল অবস্থায় আটকের পর তরুণ-তরুণীকে প্রথমে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাঁদের নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দুজনে মদ পান করার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দেওয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পরীক্ষায় ওই তরুণ–তরুণীর মদ্যপানের প্রমাণ পেয়েছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

রামপুরা থানার ওসি জানান, ওই তরুণ-তরুণী রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.