পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি বিজেপির

0
124
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনোত্তর সহিংসতা এখনো চলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে অবস্থান করলেও রাজনৈতিক সহিংসতা থামানো যায়নি। প্রতিদিনই কোথায় না কোথাও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

এ অবস্থায় বিজেপির তরফ থেকে দাবি উঠেছে, রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে সংবিধানের ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করা হোক। এর আগেও তারা বিভিন্ন সময় রাজ্যে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা জারির আবেদন করেছিল। ৩৫৬ হলো রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি। আর ৩৫৫ ধারা হলো রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ।

পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি বিজেপির
ওকে: উত্তম
ছবি: আন্তর্জাতিক/Shuvendu/Kunal
ক্যাপ:

কোনো রাজ্যে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে কেন্দ্রীয় সরকার সেই রাজ্যে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করতে পারে। এর ফলে প্রশাসনিক ক্ষমতা চলে যায় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। আর এই দাবি নিয়ে বিজেপি মাঠ গরম করছে। রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমে তাঁদের দাবি তুলেছেন।

বিজেপির দাবির জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ভাবা যায়, সংবিধানের ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের এমন পরিকল্পনা ও পন্থার কথা! হাইকোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখন হাইকোর্টের উচিত সুয়োমোটো মামলা করে শুভেন্দুকে গ্রেপ্তার করা।’

কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে বিজেপি কি পরিকল্পিতভাবে রাজ্য অশান্তি সৃষ্টি করেছে। ভোট–সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে তারা এখন এই দাবি তুলছে।
গত ৯ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন থেকে গত ৩৭ দিনে রাজ্যে নির্বাচন এবং নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো রাজ্যে মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত।

নির্বাচনের দিন রাজনৈতিক সংঘর্ষে আহত সইবুর রহমান আজ শুক্রবার সকালে কলকাতার এসআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তাঁর ভাই মইদুল শেখ গত সোমবার মারা যান। তাঁদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। দুজনেই নির্বাচনের দিন আহত হন। অভিযোগ, কংগ্রেস–সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা আহত হন। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার মারা যান ভোটের দায়িত্বরত শিক্ষক রেবতী মোহন বিশ্বাস।

গতকাল ধর্মতলার লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে এই রাজ্যে নির্বাচন ও নির্বাচনোত্তর সহিংসতার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করে বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফ। মিছিলে অংশ নেন বামফ্রন্ট নেতা বিমান বসু, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম, আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকিসহ তিন দলের নেতারা। প্রতিবাদ মিছিল থেকে রাজ্যে অবিলম্বে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।

আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণে চার আইএসএফ কর্মী আহত হয়েছেন। আইএসএফের দাবি, ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন আইএসএফের জেলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জাহানারা খাতুন স্বামীসহ নিখোঁজ হন। দলটি তাঁদের উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.