নরসিংদীর তিন উপজেলায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

0
95
বজ্রপাত

মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ৩টার মধ্যে রায়পুরার শ্রীনগর ও নিলক্ষা, মনোহরদীর দৌলতপুর ও শিবপুরের সাধারচর ইউনিয়নে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

নরসিংদীর রায়পুরা, মনোহরদী ও শিবপুর উপজেলার পৃথক চার স্থানে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

মারা যাওয়া চারজন হলেন রায়পুরার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরেরচর গ্রামের কুড়েরপাড় এলাকার মো. মোমরাজ মিয়ার স্ত্রী শামসুন্নাহার বেগম (৪৫) ও নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়া (১২), মনোহরদীর দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামের মৃত বাদল মিয়ার ছেলে কাতারপ্রবাসী মো. রায়হান মিয়া (৩০) এবং শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাধারচর এলাকার খোরশেদ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৩০)।

বজ্রপাতে জেলার তিন উপজেলায় চারজন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছেন জানিয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অনির্বাণ চৌধুরী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেড়েছে। এ সময়টাতে আরও সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে হবে।

রায়পুরার শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খান বলেন, দুপুরে ফকিরেরচর গ্রামের কুড়েরপাড় এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় বাড়ির পাশের ধানের জমি থেকে খড় কুড়িয়ে আনছিলেন শামসুন্নাহার বেগম। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রায়পুর থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তরের আবেদন করেছেন।

রায়পুরার নিলক্ষা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বলেন, দুপুরে আশপাশের বাড়ির কয়েকজন শিশুর সঙ্গে বাড়িসংলগ্ন মাঠে ফুটবল খেলছিল শিশু জাবেদ। বেলা পৌনে তিনটার দিকে হঠাৎ সেখানে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে জাবেদ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে তাঁর লাশ পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনায় সঙ্গে থাকা আরও তিন শিশু আহত হয়েছে। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।

মনোহরদীর দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামের রায়হান মিয়া কাতারে ছিলেন। এক মাস আগে ছুটিতে দেশে আসেন তিনি। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ মাহমুদ খান বলেন, দুপুরে রায়হান মিয়া তাঁর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে পাতরদিয়া গ্রামের ইদগাহ মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বেলা দুইটার দিকে সেখানে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

শিবপুরের সাধারচর ইউনিয়নের খোকন মিয়া ছিলেন রাজমিস্ত্রি। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদ আহমেদ বলেন, আজ সকালে বৃষ্টির সময় কাজ রেখে বাড়িতে ফিরছিলেন খোকন মিয়া। জমির আইল ধরে হাঁটার সময় বেলা ১১টার দিকে বজ্রপাতে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.