জামালদের কাঠগড়ায় ভারতীয় রেফারি

0
96

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের লড়াকু পারফরম্যান্স ছিল অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের শুরুতে‌ও। গোলপোস্টের নিচে আনিসুর রহমান জিকোর অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে একসময় মনে হয়েছিল, ম্যাচটি টাইব্রেকার পর্যন্ত যাবে। কিন্তু ১০৭ মিনিটে কুয়েতের আবদুল্লাহ আল বোলৌশির গোলেই থেমে যায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের স্বপ্নের যাত্রা।

বেঙ্গালুরুতে শনিবার সেমিফাইনালে কুয়েতের কাছে ১-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পর জামাল ভূঁইয়া-তপু বর্মণদের যত ক্ষোভ ভারতীয় রেফারি জন ক্রিস্টালের ওপর। ম্যাচ শেষে নিজের হতাশা এভাবেই প্রকাশ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল, ‘আমরা অনুভব করেছি, ১২০ মিনিট রেফারি আমাদের বিপক্ষে ছিল। এ কারণে আমরা একটু রাগ করেছিলাম। কুয়েতের প্লেয়াররা অনেক ভুল করেছে, কিন্তু রেফারি ফাউল দেয়নি। এ কারণে আমাদের মনে হয়েছে, রেফারি আমাদের বিপক্ষে ছিল।’

ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোলটি তাঁর পায়ের ফাঁক দিয়েই করেন কুয়েতের আল বোলৌশি। তবে হারের জন্য তপু বর্মণ দায়ী করলেন রেফারিকে, ‘কিছুই বলার নেই, রেফারি আমাদের শেষ করে দিয়েছে। নাথিং টু সে। নাথিং টু সে।’

বদলি হিসেবে নামা মোহাম্মদ ইব্রাহিমও জামাল-তপুর সুরেই কথা বলেছেন, ‘অনেক খারাপ লাগছে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। অনেক ভালো খেলেছি। জয়ের জন্য মাঠে নেমেছিলাম, সবাই জান-প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেছে। দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু বলার নেই। রেফারি আমাদের বিপক্ষে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছে।  অনেক ফাউল করেছে ওরা, কিন্তু রেফারি ফাউল দেয়নি।’

এরপর ইব্রাহিম যেটা বলেছেন সেটাই হয়েছে বাস্তবে, ‘একটা বিষয় একবার ভাবুন, সাফের বাইরে এই দুইটা দল যদি না আসত, তাহলে আমাদের অবস্থান কোথায় থাকত। তবে তারা এলেও আমরা সেভাবে প্রস্তুত ছিলাম। মাঠে সেভাবে খেলছিলামও, কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.