এজেন্টের কাছ থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে সিল, ২ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি

0
30
গাবতলী উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়া হয়।
এজেন্টের কাছ থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে সিল, ২ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি
বগুড়ার গাবতলীতে এজেন্টের কাছ থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে সিল মারার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। বুধবার সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ দিকে কুসুমকলি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে ৯০০ জাল ভোটসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
সকাল ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বগুড়ার গাবতলী, সারয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়। সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চললেও গাবতলীতে বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট পড়ার অভিযোগ আসতে থাকে। এছাড়াও নাড়ুয়ামালা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সিরাজুম ইসলাম নামে এক শিক্ষককে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
সকাল ১০টার দিকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আনারস মার্কার প্রার্থী রফি নেওয়াজ খান রবিনের ১০-১৫ জন সমর্থক উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার ৪ ও ৫ নাম্বার বুথে ঢোকেন। বুথের পোলিং এজেন্টের কাছ থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে সিল মারতে থাকেন তারা। খবর পেয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফসানা রিমা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ব্যালট পেপারে মুড়িতে ভোটারের স্বাক্ষর না পাওয়ায় ৬টি মুড়ি জব্দ করেন। এই সময় সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার তারিকুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হাফিজুর রহমান জাল ভোটের দায় স্বীকার করে বলেন, ‘১০-১৫ জন যুবক বুথে এসে ব্যালট পেপার কেড়ে নেয়। পরে তারা গোপন কক্ষে গিয়ে সিল মেরেছে। তাদের আমি চিনিনা। নিরুপায় হয়ে মেনে নিয়েছি।’
প্রিসাইডিং অফিসার এটিএম আমিনুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতাম না। আপনাদের কাছে খবর পেয়ে ব্যালট খুলে দেখি মুড়িতে ভোটদাতার সিল ও স্বাক্ষর নেই।’
এদিকে বেলা ১২টার দিকে রামেশ্বাপুর ইউনিয়নের কুসুমকলি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসার শাজাহান আলম ও আনারস মার্কা প্রার্থী রফি নেওয়াজ খান রবিনের এজেন্ট এরশাদ আলীকে আটক করেছে পুলিশ। ব্যালটে সিল মারা ৯০০টি জাল ভোটসহ তাদের আটক করা হয়। এছাড়াও প্রায় ৩০০টি জাল ভোট বাক্সে ফেলার অভিযোগ স্বীকার করেছেন প্রিসাইডিং অফিসার শাজাহান আলম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, হাতেনাতে তাদের আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহামুদ হাসান বলেন, যেখানে অভিযোগ পাওয়া যাবে সে সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটগ্রহণ চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.