গাজীপুরে হামলায় শ্রমিকনেতার মৃত্যু, আহত দুই

0
111
গাজীপুরের সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকায় প্রিন্স জেকার্ড সোয়েটার লিমিটেডের সামনে হামলায় শ্রমিকনেতা শহিদুলের মৃত্যু হয়েছে

গাজীপুর মহানগরীর গাজীপুরা সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকায় হামলায় এক শ্রমিকনেতার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ (৫০)। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

শহীদুলের সহকর্মীদের অভিযোগ, শ্রমিকদের পক্ষে বেতন-ভাতা নিয়ে কথা বলায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় তিনি মারা গেছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিকনেতা।

শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন গাজীপুর শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি এলাকার আজগর আলীর ছেলে। আহত দুজন হলেন মো. মোস্তফা কামাল (২৫) ও আহমেদ শরীফ (৩৫)।

স্থানীয় শ্রমিকদের ভাষ্য, গাজীপুরের সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকায় প্রিন্স জেকার্ড সোয়েটার লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকদের চলতি মাসসহ দুই মাসের বেতন বকেয়া আছে। ঈদের বোনাসও দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ চলে আসছিল। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে শহীদুল ইসলাম মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। গতকাল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও বোনাস দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সারা দিন অপেক্ষা করিয়ে বেতন-বোনাস দেওয়া হয়নি।

রাত নয়টার দিকে শহীদুল ইসলামসহ তিনজন কারখানা থেকে বের হয়ে প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়ান। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত তাঁদের ওপর হামলা চালায়। আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে গাজীপুরের তারগাছ এলাকার তায়রুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শহীদুলকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দুজন ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই শহীদুলের লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।

শ্রমিকনেতা শহীদুলের সহকর্মী মো. সাইফুল আলম দাবি করেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন-বোনাস না দেওয়ায় শ্রমিকেরা শহীদুল ইসলামের কাছে সহযোগিতা চান। শহীদুলসহ তিনজন কারখানায় গিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। কথা শেষ করে কারখানা থেকে বের হওয়ার পর তাঁদের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা কারখানার মালিকপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসী বলে তাঁর দাবি।

গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, এক শ্রমিকনেতার মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.