আশা, স্টামফোর্ডসহ ৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ইউজিসির

0
187
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)

আজ রোববার প্রথম আলোকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ। তিনি বলেন, এ মাস থেকে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, আরও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি করা গেলেও অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ভর্তি করা যাবে না।

দেশে ১৯৯২ সাল থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানো ও বিদেশে শিক্ষার্থীদের চলে যাওয়া নিরুৎসাহিত করা। এখন পর্যন্ত দেশে ১০৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শুরুর দিকে গ্রহণযোগ্য উদ্যোক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছিলেন। এতে দেশে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে, যেগুলো পড়াশোনার মান বজায় রেখেছে। অবশ্য ২০০১ সালের পর রাজনৈতিক বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে, যা এখনো চলছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় ও ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সনদ বিক্রির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

আইন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠার সাত বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে হবে। কিন্তু অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বয়স এক যুগের বেশি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব বা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে বারবার দেওয়া সময় হলেও এখনো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যায়নি। এগুলোর কোনোটি আংশিক গেছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে অবস্থিত।

শহর থেকে বাইরে গেলে শিক্ষার্থী পেতে সংকট হওয়ার আশঙ্কায় অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় সরতে চায় না। আবার আইন ভঙ্গ করে চললেও ‘নানা কারণে’ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এবার কিছুটা কঠোর অবস্থান নিল ইউজিসি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.