আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

0
102
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আজ শুক্রবার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়, ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দেওয়া প্রতিশ্রুতি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা শেষে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনটির তিন সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিওর পর্যায়ক্রমিক সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত সভায় সূচনা বক্তব্য দেন।

সভায় আওয়ামী লীগের দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ঐক্য পরিষদ বলছে, সমমনা সব ধর্ম ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংগঠনগুলোকে সমন্বয় করে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৮ সেপ্টেম্বর, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে ১৫ সেপ্টেম্বর, সিলেট বিভাগে ১৬ সেপ্টেম্বর, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ২২ সেপ্টেম্বর এবং ঢাকা বিভাগের সব জেলা ও উপজেলায় ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল-সন্ধ্যা গণ-অনশন ও গণসমাবেশ করা হবে। ঢাকায় ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর ৪৮ ঘণ্টার কেন্দ্রীয় গণ-অনশন ও গণসমাবেশ কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়েছে সংগঠনটি।

এই সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ৬ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চাসহ মহাসমাবেশের আয়োজন করবে ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি বলেছে, আগামী ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ঢাকাসহ সারা দেশে আলোর মিছিল করা হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হবে। চলমান আন্দোলনের কর্মসূচি ও সংগঠনের দাবিগুলো নিয়ে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল এবং দেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিক ও মিশনপ্রধানদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবে তারা।

সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, পার্বত্য চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করার প্রতিশ্রুতি আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করেছিল বলে জানান সংগঠনের নেতারা।

এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে শঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, আবারও এ দেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর চলমান হামলাকে জোরদার করতে পারে ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক মহল। এ ধরনের পরিস্থিতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন করতে পারে। সে জন্য দেশি ও বিদেশি সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.