যে কোনো মূল্যে নির্বাচনী মাঠ থেকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে হটাতে চাইছে তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা। বৃহস্পতিবার বিবিসি উর্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার লাহোর থেকে পিটিআইর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। সহিংসতায় দলীয় এক কর্মী নিহতের ঘটনায় র্যালি-সমাবেশ বন্ধ ঘোষণা করেন ইমরান খান। সেই ইস্যুতেই বিবিসির প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি।
ইমরান জানান, নতুন সেনাপ্রধানের সঙ্গে তাঁর এবং পিটিআইর সম্পর্ক স্বাভাবিক। কিন্তু সামরিক সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসার প্রয়োজন নেই তাঁর দলের। দেশের কল্যাণে চোর-দুর্নীতিবাজ ছাড়া সবার সঙ্গেই সংলাপে বসতে প্রস্তুত তিনি।
আগামী ১৬ মার্চ দেশটির পার্লামেন্টের ১২৭টি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
ইমরান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজই হলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। তারা তো নির্বাচিত সরকার নয়। তাহলে তারিখ ঘোষণার পর কীভাবে তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে? সামনে নির্বাচন, অথচ কোনো প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে না। পুরো বিষয়টিই হাস্যকর। সে কারণেই র্যালি ও সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকারকে নির্বাচন বানচালের বিন্দুমাত্র সুযোগ দিতে চাই না– বলেন তিনি।