চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের বাজেটে কলমের ওপর উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। ব্যাপক সমালোচনার পর ভ্যাটের হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। তাতেও গ্রাহক পর্যায়ে কলমের দাম এখনকার তুলনায় কিছুটা বাড়তে পারে। সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ১ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের সময় কলমের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব দেন। শিক্ষাসামগ্রীর ওপর ভ্যাট আরোপ করায় তখন তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
২১ জুন এনবিআর প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, বলপয়েন্ট পেনের স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনে আরোপনীয় ৫ শতাংশের অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। ২৬ জুন থেকে এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হবে। এর অর্থ হলো, বাজেট পাসের দিন থেকে বলপয়েন্ট পেনের ওপর নতুন মূসক হার কার্যকর হয়ে গেছে।
কারখানা থেকে বাজারে কলম সরবরাহের সময় এই কর আরোপ করা হবে। এখন ম্যাটাডর, অলিম্পিক, ইকোনো, আরএফএল, মেঘনাসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি কলম উৎপাদন করে।
করোনা–পরবর্তী ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে সাম্প্রতিক সময়ে কলমসহ সব ধরনের শিক্ষাসামগ্রীর দাম এমনিতেই বেড়েছে। এর ওপর আবার নতুন ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলো। এর ফলে কলমের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। বর্তমান সময়ে অফিস-আদালতে কলমের ব্যবহার কমে এলেও শিক্ষাক্ষেত্রে এর ব্যবহার আগের মতোই আছে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ওপর চাপ কিছুটা বাড়বে।
বর্তমানে একটি বলপয়েন্ট কলমের দাম ৫ টাকা থেকে শুরু হয়।