তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইউটিউব ও ফেসবুকে ‘মিথ্যা তথ্যসংবলিত’ ভিডিও ক্লিপ আপলোড করায় ‘নাগরিক টিভি’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল ও এর ফেসবুক পেজ পরিচালনায় জড়িত সাতজনের নামে মামলা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন মো. আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ারের
কানাডা থেকে ‘নাগরিক টিভি’ নামে ইউটিউব ও এর ফেসবুক পেজটি পরিচালনা করেন নাজমুস সাকিব নামের এক ব্যক্তি। মামলায় তাঁকেসহ তাঁর ছয় সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন এইচ এম কামাল, আজাদ শাহাদত, সানী প্রধান, সাইফুল ইসলাম তালুকদার, খন্দকার ইসলাম ও মো. হাজী হারুন রশিদ। এ ছাড়া ‘নাগরিক টিভি’ নামের ইউটিউব চ্যানেলটিকেও আসামি করা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মোট মামলা ৭০০১টি: সংসদে আইনমন্ত্রী
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, হাছান মাহমুদকে রাজনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও মানহানি করতে, মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার কু–মানসে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইউটিউবে নাগরিক টিভির চ্যানেল ও এর ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করা হয়েছে। ১৭ জুন চকবাজার এলাকায় ইউটিউবে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি বাদী দেখতে পান।
এজাহারে আরও বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক ও মানহানিকর।
মামলাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মজুমদার।