৬ গোলের রোমাঞ্চে কেউ জেতেনি

সার্বিয়া ৩ : ৩ ক্যামেরুন

0
178
সার্বিয়া–ক্যামেরুন ম্যাচে কেউ জেতেনি, ছবি: এএফপি

প্রতিরোধহীন শটটি পোস্টের ভেতরের অংশ লেগেও বাইরে চলে আসে। ৭ মিনিট বাদে আরও একবার সুযোগ পান ২৮ বছর বয়সী মিত্রোভিচ। এবার বল পেয়ে যান ক্যামেরুন ডিফেন্ডারদের ভুলে। তবে অরক্ষিত থাকলেও তাড়াহুড়ায় পোস্টের বাইরে শট নেন তিনি।

খেলার ধারার বিপরীতে ২৮ মিনিটে ক্যামেরুন গোল পেয়ে এগিয়ে যায়। নুহু তোলোর কর্নার থেকে খুব কাছ থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন জঁ-চার্লস কাস্তেলেত্তো। বিশ্বকাপে খেলা সর্বশেষ নয় ম্যাচে এটি ক্যামেরুনের চতুর্থ গোল।

প্রথমার্ধে দুটি সুযোগ হারালেও দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল করেন আলেকসান্দার মিত্রোভিচ

প্রথমার্ধে দুটি সুযোগ হারালেও দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল করেন আলেকসান্দার মিত্রোভিচ
ছবি: এএফপি

তবে মিত্রোভিচ, দুসান তাদিচরা যেভাবে বারবার আক্রমণে উঠছিলেন, গোল পাওয়া সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল। প্রথমার্ধের শেষদিকে সেটিই হয়ে যায় দুই দফায়। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে তাদিচের কর্নার থেকে হেড করে বল জালে জড়ান স্ত্রাহিনিয়া পাভলোভিচ। তিন মিনিট পর আরেকটি গোল এনে দেন মিলিনকোভিচ-সাভিচ। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সার্বিয়া।

বিরতির পরও আক্রমণাত্মক খেলে গেছে সার্বিয়া। ক্যামরুনের ডিফেন্সিভ থার্ডে ঢুকে শট নেওয়ার সুযোগ থাকলেও সাভিচকে ঠেলে দেন মিত্রোভিচ। সেখান থেকে আন্দ্রিয়া জিভকোভিচ হয়ে গোলমুখে বল চলে আসে মিত্রোভিচের সামনে। সহজেই ক্যামেরুন গোলকিপারকে পরাস্ত করেন ২৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।

ম্যাচ শেষে দর্শকদের অভিবাদন জানান ক্যামেরুনের খেলোয়াড়রা

ম্যাচ শেষে দর্শকদের অভিবাদন জানান ক্যামেরুনের খেলোয়াড়রা
ছবি: এএফপি

সার্বিয়া ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পরও হতোদ্যম হয়নি ক্যামেরুন। তবে ইতিহাস ছিল না পক্ষে। বিশ্বকাপে অন্তত ২০ ম্যাচ খেলা দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম গোলের হার আফ্রিকান দেশটির। শেষ আট ম্যাচের ৫টিতে গোল করতে না পারা ক্যামেরুনের সামনে তখন নিজেদের ইতিহাসই ‘বাধা’। তবে ম্যাক্সিম চুপো-মোতিং আর ভিনসেন্ট আবুবকররা হাল ছাড়েননি। সার্বিয়ার প্রতিটি আক্রমণের পরই দ্রুত পাল্টা আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে গেছেন তারা।

সেভাবেই ৬৩ মিনিটে গোল পেয়ে যান বদলি নামা আবুবকর। কাস্তেলেত্তোর পাস থেকে বল পেয়ে এগিয়ে আসা সার্ব গোলকিপারের মাথার দিয়ে ওপর বল পাঠিয়ে দেন সৌদি আরবের লিগে খেলা এই স্ট্রাইকার। তিন মিনিট পর চলে আসে সমতা আনা তৃতীয় গোলও। এবার সহায়তাকারী হয়ে ওঠেন আবুবকর, গোলদাতা চুপো-মোতিং।

৬৬ মিনিটের মাথায় স্কোরলাইন ৩-৩-এ পরিণত হওয়ার পর খেলা চলেছে আরও আধা ঘণ্টা। তবে বাকি সময় আর গোলমুখ খুলতে পারেনি কেউই। মাঠ ছাড়তে হয় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে।

এবারের বিশ্বকাপে এটিই দুই দলের প্রথম পয়েন্ট। প্রথম ম্যাচে সার্বিয়া ২-০ গোলে ব্রাজিলের কাছে, সুইজারল্যান্ডের কাছে ক্যামেরুন হেরেছে ১-০ গোলে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.