‘হুন্ডি ডন’ গিরিধারীলাল মোদীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

0
85
দুর্নীতি

অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ অর্জনের অভিযোগে আলোচিত হুন্ডি ব্যবসায়ী উত্তরা গ্রুপের উত্তরা ট্রেডার্স (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান গিরিধারীলাল মোদীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গিরিধারীলাল মোদী ডন হিসেবেও পরিচিত। বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল মাজেদ বাদি হয়ে কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলটি দায়ের করেন।

এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে দুর্নীতির মাধ্যমে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিরা ওই অর্থ নিজেদের ভোগদখলে রেখে স্থানান্তর, রূপান্তর, ঘটিয়ে মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।

এজাহারে অপর চার আসামি হলেন উত্তরা উইভিং ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি গিরিধারীলাল মোদীর ভাই গণেশলাল মোদী, উত্তরা ট্রেডার্স (প্রা.) লিমিটেডের যশোর নোয়াপাড়া শাখার ম্যানেজার (সেলস) অজয় চক্রবর্তী, উত্তরা ট্রেডার্সের কর্মচারী মো. লিয়াকত আলী খান ও গাড়িচালক আলী হোসেন।

এজাহারে বলা হয়, উত্তরা ট্রেডার্সের মালিক গিরিধারীলাল মোদী একজন আলোচিত হুন্ডি ব্যবসায়ী। তিনি অপরাধলব্ধ দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন ও দখলের রেখে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে তার ভাই গণেশলাল মোদী প্রাইভেটকারে যশোরের নোয়াপাড়া আনার পথে সাভারের আশুলিয়া টোল প্লাজা ও আগুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে পুলিশ কর্তৃক ওই টাকা জব্দ করা হয়। পরে নোয়াপাড়ায় তাদের সেলস সেন্টার থেকে ম্যানেজার অজয় চক্রবর্তী বাহক লিয়াকত আলী খানের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠান।

আসামী গণেশলাল মোদী ওই টাকা অর্জনের বৈধ উৎস্য দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। পুলিশ আদালতের আদেশক্রমে জব্দ করা ওই টাকা গিরিধারীলাল মোদীর হেফাজতে বা জিম্মায় দিলেও জিম্মায় দিলেও টাকা তিনি কি উদ্দেশ্যে কোথায় খরচ করেছেন তার কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এমনকি এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পুলিশের রেকর্ডে গিরিধারীলাল মোদীর নাম হুন্ডি ব্যবসায়ী ও ডন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.