সর্দি-কাশি হলে কি কলা খাওয়া ঠিক

0
117

কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস আছে। কলা শরীরে পানির অভাব পূরণ করে। একটি কলা খেলে শরীর ১০০ ক্যালরি শক্তি পায়।

শরীরের জন্য উপকারী কলাকে ঠান্ডা খাবার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, কলা শরীরে মিউকাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই অনেকে মনে করেন, সর্দি-কাশি হলে কলা খাওয়া উচিত নয়। এতে ঠান্ডা আরও বাড়তে পারে। এ ধারণা কতটা ঠিক তা জানানো হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘নিউজ এইট্টিন’ এর এক প্রতিবেদনে।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলা উচ্চ হিস্টামিনযুক্ত খাবার। হিস্টামিন বুকে কফ উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলে। কলা স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিদায়ক। তবে শীতের রাতে কলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। সেক্ষেত্রে বিকেলে কলা খেতে পারেন। যারা কাশি- সর্দি বা অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন, তাদের কলা খাওয়া উচিত নয়। কারণ কলা কফের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যদি ২ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে শ্লেষ্মা ও অ্যালার্জিতে ভোগেন, তাহলে, কলার মতো উচ্চ হিস্টামিন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। আর কেউ যদি ২-৩ দিন ধরে সাধারণ সর্দি-কাশি বা জ্বরে ভোগেন, তাহলে একটি করে পাকা কলা সপ্তাহে ৩-৪ বার খেতে পারেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.