করোনাভাইরাসের কারণে মহামারি পরিস্থিতি থেকে যখন বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, তখনই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ যুদ্ধ গোটা বিশ্বের অর্থনীতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত কয়েক অর্থবছরের ন্যয় এবারও অর্থবছরের শুরু থেকেই ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধন নীতি গ্রহণ করেছে সরকার।
রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত জরুরি পরিপত্র জারি করে বলা হয়েছে, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ, সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থকাবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার বৈদেশিক অর্থায়নের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নে বিদেশ যাওয়া যাবে। বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগীর অমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণেও বিদেশ যেতে বাধা থাকবে না।
একই সঙ্গে উন্নয়ন ও পরিচালন বাজেটের আওতায় সব ধরনের গাড়ি, জাহাজ এবং বিমান কেনাও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তবে ১০ বছরের অধিক পুরনো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। পাশাপাশি পরিচালন বাজেটে আওতায় ভূমি খাতের অধিগ্রহণ বাবদ বরাদ্দ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় এ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সব অনুষ্ঠানিকতা প্রতিপালন করে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও উন্নয়ন ও পরিচালন বাজেটেও আওতায় বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ, পেট্রোল, ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট ও গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।