সত্য বললে মামলায় পড়তে হয়, জেলে যেতে হয়: গণতন্ত্র মঞ্চ

0
120
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, সত্য কথা বললে মামলায় পড়তে হয়, জেলে যেতে হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো গণবিরোধী আইন করে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।

আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে গণতন্ত্রের মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। ‘প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা, র‍্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে’ গণতন্ত্র মঞ্চ এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার ভয়ে আছে। কারণ, ধীরে ধীরে সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদী হচ্ছে। এই সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এ সরকার মানুষকে ভোট দিতে দেয় না। তারা রাজনীতিকদের নির্যাতন করে। রোজা ও ঈদের পর চিন্তাভাবনা করে গণতন্ত্র মঞ্চ রাজপথে আন্দোলনে নামবে বলে জানান তিনি।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষ যখন খেতে পায় না, তখন ক্ষমতাসীনেরা বিলাসী জীবন যাপন করে। দেশে ৮০ ভাগ মানুষের কাছে স্বাধীনতা মানে হচ্ছে, মাছ, মাংস, চালের স্বাধীনতা। সরকার যে মাথাপিছু আয়ের কথা বলে, তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনের বাস্তবতার কোনো মিল নেই।

দমন-পীড়নের জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে বলে মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, এই আইন দিয়ে তারা মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিতে চায়। প্রথম আলোর সাংবাদিককে জেলে ঢুকিয়ে বাকিদের শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সম্পাদকদের কেউ কেউ, শিক্ষকদের সমিতি, সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট উপাচার্যরা বিবৃতি দিতে নেমেছেন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সাংবাদিকেরা এক হয়ে আন্দোলন করতে না পারার সুযোগ নিচ্ছে সরকার। একটি সংবাদ হজম করার ক্ষমতা সরকারের নেই। এখন সত্য বলতে হলে মামলায় পড়তে হয়, জেলে যেতে হয়।

সাইফুল হক প্রশ্ন করেন, ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচন, ২০১৮ সালে রাতের ভোটে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি? মামলা না হতেই সুলতানা জেসমিনকে আটকের পর র‍্যাবের হেফাজতে তাঁর মৃত্যুর কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি?

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘গণবিরোধী আইন’ আখ্যা দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, সরকার গণবিরোধী আইন করতে সংবিধান, সংসদকে ব্যবহার করছে।

গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ বিদেশি গণমাধ্যমে টাকা ঢেলে দেশের উন্নয়ন প্রচার করছে। এসব দেখে হতাশ হওয়া যাবে না।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

ডিইউজে-বিএফইউজের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সাংবাদিক শামসুজ্জামানসহ যেসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলামসহ সংগঠন দুটির নেতারা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডিইউজে-বিএফইউজের বিক্ষোভ সমাবেশ

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডিইউজে-বিএফইউজের বিক্ষোভ সমাবেশ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.