বীমাকে পেছনে ফেলে খাতওয়ারি লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। গতকাল বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে এ খাতের ১৯ কোম্পানির ৯২ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোট লেনদেনের সাড়ে ২১ শতাংশ। খাতওয়ারি লেনদেনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকা বীমা খাতের ৫২ কোম্পানির সাড়ে ৭৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
খাতওয়ারি লেনদেনে বীমাকে হটিয়ে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের শীর্ষে উঠে আসার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত শেয়ার ফু-ওয়াং ফুড। এর সঙ্গে জেমিনি সি ফুড এবং এমারেল্ড অয়েলের অবদান আছে। শুধু ফু-ওয়াং ফুডেরই এদিন ৩৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর বাইরে জেমিনি সি ফুডের ২০ কোটি ১৭ লাখ টাকার এবং এমারেল্ড অয়েলের ১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। অর্থাৎ তিন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ছিল এ খাতের মোট লেনদেনের প্রায় ৭৭ শতাংশ।
শুধু লেনদেন নিয়ে শেয়ারদর বৃদ্ধির দিক থেকেও এগিয়ে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। খাতটির তালিকাভুক্ত ২১ কোম্পানির মধ্যে
১৯টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টির দর বেড়েছে, কমেছে চারটির এবং বাকি চারটির দর অপরিবর্তিত থেকেছে।
অন্যদিকে বীমা খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। এ খাতের তালিকাভুক্ত ৫৭ কোম্পানির মধ্যে ৫২টির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত চারটির দর।
তালিকাভুক্ত ৩৯২ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে গতকাল ডিএসইতে ২৮১টির কেনাবেচা হয়েছে। ক্রেতার অভাবে ১১১ কোম্পানির কোনো শেয়ারই কেনাবেচা হয়নি। কেনাবেচা হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে সাকল্যে ৭৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ১৩৮টির দর। এদিন ফ্লোর প্রাইসে পড়ে ছিল ২৪৮ শেয়ার।
গতকাল সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দর বেড়ে দর বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং ফুড। কোম্পানিটির শেয়ারদর প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে ৩৩ টাকা ২০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। বিপরীতে পৌনে ৫ শতাংশ দর হারিয়ে দরপতনের শীর্ষে ছিল লিবরা ইনফিউশন, সর্বশেষ কেনাবেচা হয়েছে ১ হাজার ৬৪ টাকা ৫০ পয়সায়।
ডিএসইতে গতকাল ৪৩০ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে একক কোম্পানি হিসেবে সর্বাধিক ৩৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে সি পার্ল হোটেলের।