বাড্ডায় মা-মেয়েকে হত্যার অভিযোগ

0
102

রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বৃষ্টি আক্তার (৩৩) নামের এক গৃহবধূ ও তাঁর ১০ বছর বয়সী মেয়ে সানজা মারোয়াকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বৃষ্টির স্বামী এস এম সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বৃষ্টির পরিবারের অভিযোগ, বৃষ্টি ও সানজাকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্র জানায়, এস এম সেলিমের পৈতৃক বাড়ি মেরুল বাড্ডায়। সেখানেই বৃষ্টি তাঁদের দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন। সেলিম বর্তমানে বেকার। সানজা মেরুল বাড্ডায় একটি মাদ্রাসায় পড়ত।

বৃষ্টির মামা রাসেল সিকদার আজ বুধবার সকালে বলেন, গতকাল রাত দেড়টার দিকে ফোনে বৃষ্টির অসুস্থতার কথা জানতে পারেন। পরে তাঁরা মেরুল বাড্ডায় বৃষ্টির বাসায় গিয়ে তাঁকে ও তাঁর মেয়ে সানজাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। বৃষ্টির আট মাস বয়সী শিশুটি খাটে শুয়ে ছিল। পরে তিনি ও সেলিম মিলে বৃষ্টি ও সানজাকে অচেতন অবস্থায় স্থানীয় বেসরকারি ফরায়েজি হাসপাতালে নিয়ে যান। এরই মধ্যে খবর পেয়ে বাড্ডা থানার পুলিশ ওই হাসপাতালে যায়।

বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদেক মিয়া আজ সকালে বলেন, চিকিৎসকেরা দ্রুত মা ও মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। মা ও মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাদের জন্য হাসপাতাল থেকে বৃষ্টির স্বামী সেলিমকে আটক করা হয়। সেলিমের দাবি, বৃষ্টি নিজে কিছু খেয়েছেন এবং পরে মেয়েকে কিছু খাইয়ে হত্যা করেছেন।

তদন্ত করে এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করা যাবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

তবে বৃষ্টির মামা রাসেল শিকদার অভিযোগ করেন, সেলিমের অন্য নারীর সম্পর্ক আছে। এ নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি হলে সেলিম বৃষ্টিকে মারধর করতেন। সেলিমই বৃষ্টিকে কিছু খাইয়ে অথবা শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। মেয়ে তা দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করেছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.