রপ্তানি আয়ের ডলার আসার দিনের বিনিময় হার চান ব্যবসায়ীরা

0
112
ডলার

রপ্তানি আয়ের ডলার যে দিন আসবে, সে দিনের বিনিময় হার দাবি করেছে বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবল অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ জন্য তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গত মার্চের একটি প্রজ্ঞাপন বাতিল চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনসুর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন ব্যয় এবং রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্যাকেজিং সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে সবজি ও ফল রপ্তানি দিন দিন কমছে। এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এতে বিদেশি ক্রে তারা কৃষিপণ্যেররপ্তানি মূল্য পরিশোধে কিছুটা বিলম্ব করছেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ৬ মার্চের এই প্রজ্ঞাপনের কারণে বিলম্বে আসা রপ্তানি আয়ের ডলার চার মাস আগের বিনিময় হার অনুযায়ী নগদায়ন করছে বিভিন্ন ব্যাংক। যার কারণে ছোট ও মাঝারি রপ্তানিকারকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

মোহাম্মদ মনসুর আরও অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা পণ্য জাহাজিকরণের তারিখ নাকি প্রজ্ঞাপনের তারিখ, কোনটি প্রযোজ্য হবে, সেটি উল্লেখ ছিল না। এ কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আগের যেকোনো সময়ে পণ্য রপ্তানির মূল্য দেরিতে এলেও প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী ডলারের বিনিময় হার দিচ্ছে।

দেশে ডলারের সংকট কাটছে না। ডলারের দাম বাড়তে থাকায় অনেক রপ্তানিকারক নির্দিষ্ট সময়ের পরে রপ্তানি আয় দেশে আনছেন। ডলারের বাড়তি দাম পেতেই এ সুযোগ নিচ্ছেন রপ্তানিকারকেরা। রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসনের এই গড়িমসি রোধ করতে গত মার্চে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক নির্দেশনায় বলে, রপ্তানি আয় যখনই আসুক না কেন, তা এখন থেকে আর ডলারের চলতি বাজারমূল্যে নগদায়ন হবে না; বরং রপ্তানি আয় যখন আসার কথা, তখনকার বাজারমূল্য বিবেচনায় তা নগদায়ন হবে। পণ্য রপ্তানির ১২০ দিন বা চার মাসের মধ্যে আয় আনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.