মেঘনায় ট্রলারডুবি : এখনো নিখোঁজ ৮ জন

0
47
মেঘনায় ট্রলারডুবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবলসহ এখনো ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), শহরের নিউটাউন এলাকার আরাধ্য দে, বেলাল দে, রূপা দে (৩৫) ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার।

নিখোঁজ পুলিশের কনস্টেবলের বাবা আব্দুল আলিম বলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানায় আমার ছেলে কর্মরত ছিল। সে পরিবারসহ বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিল। নৌকাডুবিতে আমার সব শেষ হয়ে গেছে।

নিখোঁজ বেলন দে’র দুলাভাই প্রবির দে জানান, আমাদের ৭ জন আত্মীয় ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিল। তাদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে গতকাল। এখন পর্যন্ত তিনজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ভ্রমণ ট্রলারের ধাক্কা লেগে ডুবে গেলে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হলেও ৮ জন নিখোঁজ হন। শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্যের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এদের মধ্যে সুবর্ণা বেগম নামে এক নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.