মূলধন বাড়াতে বোনাস, দাম বাড়ল মুন্নু অ্যাগ্রোর

0
104

মূলধন বাড়াতে পাঁচ বছরের মধ্যে আবারও সর্বোচ্চ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু অ্যাগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারিজ। গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৩২ শতাংশ বোনাস ও ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে কোম্পানিটি ৩৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর কোম্পানিটি বোনাস শেয়ার দিয়ে মূলধন বাড়িয়ে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকায় উন্নীত করেছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ৩৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এরপর গত জুনে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য ৩২ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করা হয়। এর ফলে কোম্পানিটির মূলধন বেড়ে দাঁড়াবে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকায়।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, শেয়ারবাজারের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির সর্বনিম্ন মূলধন হতে হবে ৩০ কোটি টাকা। ২০২১ সালের এ নির্দেশনা জারি করেছিল বিএসইসি। ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য তালিকাভুক্ত স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলো শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন বাড়ানোর পথে হাঁটছে। তারই অংশ হিসেবে মুন্নু অ্যাগ্রো এ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্নু অ্যাগ্রোর কোম্পানি সচিব বিনয় পাল বলেন, বিএসইসির মূলধন বাড়ানোর নির্দেশনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আমরা এ বছর ৩২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছি। তবে তাতেও বিএসইসির শর্ত পুরোপুরি পালিত হয়নি। তাই ধাপে ধাপে মূলধন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’

সাধারণত তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কয়েকভাবে মূলধন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বোনাস, অধিকারমূলক বা রাইট শেয়ার ইস্যু। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্লেসমেন্টের মাধ্যমেও মূলধন বাড়াচ্ছে।

এদিকে ৩২ শতাংশ বোনাস ঘোষণার খবরে গতকাল বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মুন্নু অ্যাগ্রোর প্রতিটি শেয়ারের দাম সাড়ে ২৬ টাকা বা ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে। যদিও এদিন লেনদেনের শুরুতে এটির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৭৩ টাকা বা পৌনে ৯ শতাংশ বেড়ে ৯০৮ টাকায় উঠেছিল।

দিন শেষে তা কমে আবার নেমে এসেছে ৮৬২ টাকায়। শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে কোম্পানিটির। এটি ডিএসইতে লেনদেনের সপ্তম অবস্থানে ছিল। লেনদেন হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.