ভোট বর্জনের পরও দ্বিতীয় হয়ে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী যা বলছেন

0
102
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা মো. মুরশিদ আলম

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করার পরও মেয়র পদে ভোটপ্রাপ্তির দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীক। এই প্রতীকের প্রার্থী মো. মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। গতকাল বুধবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্রে এই ফল ঘোষণা করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলা হয়। সেই হামলার জেরে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আসে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। এর পর থেকে মুরশিদ আলম নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণায় ছিলেন না। এমনকি তিনিসহ তাঁর সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্রেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি।

ভোট বর্জনের পর ভোটপ্রাপ্তির দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকার বিষয়ে ভোট পাওয়ার বিষয়ে মুরশিদ আলম বলেন, ‘আমরা ভোট বর্জন করেছি। তবু মানুষ ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। যদি আমরা সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন পেতাম, যদি ভালো একজন সিইসি পেতাম, তাহলে আমরা ইতিবাচক ফলাফল পেতাম। আমরা ভোট বর্জনের পরও জনগণ খুশি হয়ে আমাদের ভোট দিয়েছে। এটা একটা বড় পাওয়া।’ তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কড়া সমালোচনা করেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট। তিনি তৃতীবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন তিনি।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মেয়র প্রার্থী ছিলেন চারজন। এই নির্বাচনে তৃতীয় হয়েছে জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী লতিফ আনোয়ার। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭১৩ ভোট। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ভোট।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.