ভুটান পর্যটক ফি কমাল কেন

0
163
পর্যটক ফি কমিয়ে ১০০ ডলার করেছে ভুটান, ছবি: সংগৃহীত

সারা বিশ্ব যখন করোনায় নাকাল, ঠিক তখনই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখে নজির গড়েছিল হিমালয়ের দেশ ভুটান। এ জন্য নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কড়াকড়ি আরোপ করে, পাশাপাশি বিদেশিদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশটির দরজা। করোনার প্রকোপ কমে এলে সেই কড়াকড়ি শিথিল করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে তুলে নেওয়া হয় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা।

তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও পর্যটক ফি দৈনিক ৬৫ ডলার থেকে বাড়িয়ে করা হয় ২০০ মার্কিন ডলার। ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এটা ১২০০ রুপি (১৪.৫ মার্কিন ডলার) ধার্য করা হয়। দেশটির পক্ষ থেকে কারণ হিসেবে বলা হয়, ‘এটা টেকসই উন্নয়ন ফি’ হিসেবে নেওয়া হবে। এই অর্থ পর্যটকদের মাধ্যমে উৎপাদিত অতিরিক্ত অর্থ কার্বন নিঃসরণ কমাতে ব্যবহৃত হবে। সেই ফি কমিয়ে এবার ১০০ ডলার হতে চলেছে। আগামী মাস থেকেই এটা কার্যকর হবে।

গত জুনেও ভুটানের পর্যটন বিভাগ পর্যটক ফি নীতি পরিবর্তন করেছিল। তখন ঘোষণা করা হয়, যাঁরা চার দিনের কর দেবেন, তাঁদের পরবর্তী চার দিন আর কর দিতে হবে না। আবার যাঁরা ১২ দিনের কর দেবেন, তাঁদের পুরো মাসের কর মওকুফ করা হবে।

সংশোধিত সেই করনীতির পরও আশানুরূপ পর্যটক টানতে পারেনি ভুটান। গত জানুয়ারি থেকে ৫৬ হাজারের বেশি বিদেশি পর্যটক ভুটান ভ্রমণ করেন, এর মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাই ৪২ হাজার। তাই দুই মাস যেতেই আবার পরিবর্তন আনতে হলো। এখন ফি কমানোর মাধ্যমে ভুটানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন দেশটির পর্যটন বিভাগের মহাপরিচালক দরজি ধ্রাদুল। তিনি জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ দেশটি ভ্রমণ করে থাকেন। দেশটিতে এ সময় নানা ধরনের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আয়োজনও থাকে।

বাংলাদেশের নাগরিকেরা করোনার আগে ফি ছাড়া ভুটান ভ্রমণের সুযোগ পেলেও নতুন নীতিতে আর সেই সুযোগ রাখা হয়নি।

সূত্র: রয়টার্স

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.