ভাষা শহীদের স্মরণে লাখো মোমবাতি প্রজ্বলন

0
68
ভাষা শহীদের স্মরণে লাখো মোমবাতি প্রজ্বলন

একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির ভাষা আন্দোলনের গৌরব উজ্জ্বল শোকের দিন। বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে ১৯৫২ সালের এদিন বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা। যাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা রাষ্ট্র ভাষার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল তাদের স্মরণে প্রতিবারের মতো এবারও লাখো মোমবাতি প্রজ্বলন করলো নড়াইলবাসী।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠে এ ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভাষা সৈনিকদের স্মরণ করা হয়।

জানা গেছে, ভাষা শহীদদের স্মরণে নড়াইল একুশ উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ১৯৯৭ সালে এ ব্যতিক্রমী আয়োজনের শুরু হয়। প্রথমবার ১০ হাজার মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হলেও বছর বছর এর পরিধি বেড়েছে। প্রতি বছরের মত মোমবাতির আলোয় দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে চারিদিক। আর এই আলো ছড়িয়ে পড়বে চারদিক এই প্রত্যাশা আয়োজকদের।

প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারসহ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় করেন আয়োজকরা। সন্ধ্যার পরপরই মোমবাতির আলোতে আলোকিত হয়ে উঠে বিশালাকৃতির এ মাঠ। মোমবাতির আলোর মাধ্যমে শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বাংলা বর্ণমালা, আলপনা ও পাখিসহ গ্রাম-বাংলার নানান ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। বিশাল এই আয়োজন দেখতে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও দুর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে এসে মোমবাতি প্রজ্বলন উপভোগ করেন।

ভাষা শহীদের স্মরণে লাখো মোমবাতি প্রজ্বলন

সন্ধ্যায় কুরিরডোব মাঠের লাখো মোমবাতি একসঙ্গে জ্বলে উঠে, সেই সঙ্গে ‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এই গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গণসংগীত শুরু হয়।

মোমবাতি প্রজ্বলন দেখতে আসা নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ফারদিন শাহরিয়ার খান জানায়, অনেক মোমবাতি এক সঙ্গে জ্বালিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ও ভাষা শহীদদের স্মরণ করতে দেখে খুব ভালো লেগেছে।

বিভিন্ন শ্রেণী পেশার একাধিক নারী জানান, নিজে আনন্দ উপভোগ করতে এবং বাচ্চাদের আনন্দ দিতে ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি।

কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। এসময় পুলিশ সুপার মোহা: মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, এসএম সুলতান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, নাট্য ব্যক্তিত্ব কচি খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম লিটুসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.