ভারতজুড়ে ইন্ডিয়া জোটের বিক্ষোভ কাল

0
58
কোলাজ

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলাকালে বিরোধী দলের আরও দুই সংসদ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারা হলেন– থমাস ছাঝিকাদান ও এ এম আরিফ।

প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও সংসদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাদের সাসপেন্ড করা হয়। এ নিয়ে ভারতীয় পার্লামেন্টের ১৪৩ জন বিরোধী আইনপ্রণেতা সাসপেন্ড হলেন। তাদের মধ্যে নিম্নকক্ষ লোকসভার ৯৭ জন এবং উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার ৪৬ সদস্য রয়েছেন। ভারতের ইতিহাসে এর আগে কখনও এত আইনপ্রণেতাকে একসঙ্গে সংসদের বাইরে পাঠানো হয়নি।

চলমান পরিস্থিতিতে আগামীকাল শুক্রবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারতের সরকারবিরোধী ইন্ডিয়া জোট। ভারতজুড়ে বরখাস্ত আইনপ্রণেতাদের নিয়ে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। মঙ্গলবার দিল্লিতে জোটের বৈঠক থেকে এ ঘোষণা দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বৈঠকে ভারতের প্রধান প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিয়াল ও সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ছিলেন। জোট গঠনের পর এটা তাদের চতুর্থ বৈঠক।

বিরোধীহীন সংসদে মঙ্গলবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকে ছয়টি বিল উত্থাপন করা হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, এর মধ্যে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকসভায় তিনটি বিল পাস হয়েছে। বিলগুলো হলো– এনসিটি অব দিল্লি ল’জ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল; সেন্ট্রাল জিএসটি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল এবং প্রোভিশনাল কালেকশন অব টেক্সেস বিল। পরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষিয়া বিল আলোচনার জন্য উপস্থাপন করেন। এ তিন বিলই ব্রিটিশ আমলের আইনের সংস্কার করে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ভারতের পার্লামেন্টে নিরাপত্তা বলয় ভাঙা নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন বক্তব্য দেন। এর জেরে তাদের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। খবর লাইভমিন্টের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.