ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রার্থী আত্মগোপনে, ধারণা ইসি আনিছুরের

0
117
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির দলছুট নেতা ও আওয়ামী লীগের আশীর্বাদপুষ্ট নেতা উকিল আবদুস সাত্তারের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। তিনি আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিক থেকে তিনি ‘নিখোঁজ’। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আনিছুর রহমান আরও বলেন, তাঁরা প্রতিবেদন পেয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, প্রার্থী নিখোঁজ। তিনি বলেন, ওই প্রার্থী কোথায় আছেন, তা একবার শনাক্ত করা গিয়েছিল। কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পরে আর তাঁর অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। তারপরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেষ্টা চালাচ্ছে।

আনিছুর রহমান বলেন, প্রার্থীর কথোপকথনের একটি অডিও তিনি শুনেছেন। প্রার্থী অন্যান্য মিডিয়ার সঙ্গেও কথা বলেছেন। তাতে মনে হয় যে তাঁর এ রকম একটি পরিকল্পনা আগেই করা ছিল। তাঁকে খুঁজে পেলে পুরোটা জানা যাবে।

আসিফ আহমেদ আত্মগোপনে গিয়েছেন এমন ধারণার কারণ ব্যাখ্যা করে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য–উপাত্ত আছে, তাতে এ রকমই ধারণা জন্মে। কারণ, অডিওটা শুনেছি, ভাইরাল হয়েছে। সে অডিওতে কিন্তু এ রকমই আছে, তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে তিনি তাঁর কণ্ঠে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন কী নিয়ে যেতে হবে, সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দিতে বলেছেন। ১০ মিনিট পর বের হয়ে গেলে চালু করতে বলেছেন। তার মানে কী? তার মানে হচ্ছে, একটা পরিকল্পনা তাঁরা করেছেন। এটাই আমরা অনুমান করছি।’

আবু আসিফ আহমেদ

আবু আসিফ আহমেদ

আনিছুর রহমান আরও বলেন, প্রার্থীর স্ত্রী বা কেউ এখন পর্যন্ত নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে ইসির কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। প্রার্থীর স্ত্রী এখন পর্যন্ত পুলিশ বা রিটার্নিং কর্মকর্তা কাউকে বিষয়টি জানাননি। সাধারণত কেউ নিখোঁজ হলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। সেটাও করা হয়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.