ব্যস্ত মহাসড়কে বিদ্যুতের খুঁটি

0
69
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাঝে উচ্চ ক্ষমতার বৈদ্যুতিক খুঁটি। বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগং রোড বাসস্ট্যান্ড থেকে ছবিটি তোলা

দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাঝে থাকা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি বৈদ্যুতিক খুঁটির কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগং রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ খুঁটিগুলো রয়ে গেছে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) সেগুলো না সরানোয় দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাথায় নিয়ে প্রতিদিন এখান দিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা সেতু টোল প্লাজার হিসাবমতে, এ সড়ক দিয়ে দিনে ২০-২৫ হাজার যানবাহন চট্টগ্রামের দিকে যায়। চিটাগং রোড বাসস্ট্যান্ডে এসে চালকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

সম্প্রতি কথা হয় নোয়াখালীর সোনাপুরগামী একুশে এক্সপ্রেসের বাসচালক মো. সিদ্দিক মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, সব চালক তো একভাবে গাড়ি চালান না। অনেকে প্রতিযোগিতায় নেমে বেপরোয়াভাবে চালান। চিটাগং রোডে সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। এখানে যে কোনো যানবাহনের ধাক্কা লেগে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক টার্মিনাল মালিক সমিতির সিদ্ধিরগঞ্জ শাখার কার্যকরী সভাপতি কাজী আব্দুস সাত্তার বলেন, ব্যস্ততম এ মহাসড়কে দিনের চেয়ে রাতে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে তখন আন্তঃজেলা পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত ট্রাক, কার্গো ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বাড়ে। ওই সড়কের মাঝে থাকা খুঁটিগুলো ৩৩ হাজার ভোল্ট ক্ষমতার। সেগুলো না সরানোর কারণে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহেলাকে দায়ী করেন সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুরের ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, খুঁটিগুলো না সরিয়েই মহাসড়ক সম্প্রসারণ করেছে সওজ।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সওজ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন শামীম বলেন, মহাসড়কের মাঝখানে উচ্চ ক্ষমতার যে বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে, সেগুলো সরাতে তাঁরা ডিপিডিসিকে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছেন।
এ চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিপিডিসির নেটওয়ার্ক অপারেশন ও কাস্টমার সার্ভিসের (এনওসিএস) সিদ্ধিরগঞ্জ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, তাঁদের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কাজ করছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.