বেসরকারি খাতে তেল ও এলএনজি আমদানির নীতিমালা হচ্ছে

0
202
এলএনজি আমদানির নীতিমালা হচ্ছে

জ্বালানি আমদানি এবং বিক্রির অনুমোদন পেতে যাচ্ছে বেসরকারি খাত। এ সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। ফলে বেসরকারি পর্যায়ে এলএনজি, অপরিশোধিত (ক্রুড) ও পরিশোধিত তেল আমদানি, পরিশোধন এবং গ্রাহক পর্যায়ে কেনাবেচা করা যাবে। আগামী জুনের পর ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হবে।

শনিবার ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘জ্বালানির ধরন পরিবর্তন: বিশ্ব পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন।

সেমিনারে নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানির ধরন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করতে হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, সরকার জুনের পর ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করতে চায়। শুধু ডুয়েল-ফুয়েল বা দ্বৈত জ্বালানির কেন্দ্র চলবে।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম জানান, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি আমদানিতে বছরে অন্তত ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে গ্যাস আমদানিতে ১১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার, কয়লা আমদানিতে ৫ বিলিয়ন ডলার, বিদ্যুৎ আমদানি এবং তরল জ্বালানি আমদানিতে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।

ভূতাত্ত্বিক অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, অন্তত তিনটি আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুসারে দেশে এখনও ৩৪ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই গ্যাসের জন্য তিনি স্থলভাগে অনুসন্ধান জোরদার করার আহ্বান জানান।

বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, চাইলেই রাতারাতি জ্বালানির ধরন পরিবর্তন করা যাবে না। একসঙ্গে অনেক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব নয়। কারণ জমির স্বল্পতা রয়েছে। এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসাইন, এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.