বাসের কাগজপত্র নেই, চালকের চালানোর লাইসেন্স নেই: পুলিশ

0
90
ধর্ষণ

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় এক নারী পোশাকশ্রমিককে যে চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টার পর মহাসড়কে ফেলা দেওয়া হয়, সেটার কোনো কাগজপত্র নেই। বাসচালকের লাইসেন্স নেই। বাস থেকে ফেলে দেওয়া নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার মারা গেছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, বাসচালক মো. রাকিব (২১), তাঁর দুই সহকারী মো. আরিফ (২০) ও আনন্দ দাসকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাইওয়ে মিনি নামের যে বাস থেকে নারীকে ফেলে দেওয়া হয়, সেই বাসের কোনো কাগজপত্র নেই। বাসচালক রাকিবের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। গাড়ি পুলিশ জব্দ করেছে। তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর মালিকপক্ষের কেউ থানায় যোগাযোগ করেননি।

গতকাল সন্ধ্যায় ভালুকা বাসস্ট্যান্ডে হাইওয়ে মিনি পরিবহনের অন্তত ২৫ জন চালক ও সহকারীর সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, ভালুকা থেকে মাওনা পর্যন্ত হাইওয়ে মিনি পরিবহনের বাস চলাচল করে। এসব বাসের চালকের বয়স ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে। তাঁদের বেশির ভাগের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। স্থানীয় ব্যক্তিদের গাড়ি হওয়ায় চাপের কারণে পুলিশও কিছু বলে না তাঁদের।

ভালুকা হাইওয়ে মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম দাবি করেন, হাইওয়ে মিনি পরিবহনের ৪০ থেকে ৪৫টি বাস আছে। এসব লোকাল বাসের স্থান দখল করে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এতে দক্ষ চালকেরা এসব বাস চালানো ছেড়ে দিচ্ছেন। মালিকেরা কম দক্ষ চালকের হাতে গাড়ি দিচ্ছেন।

হাইওয়ে মিনি পরিবহন নিয়ে নানা অভিযোগের বিষয়ে ভালুকা হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক রিয়াদ মাহমুদ বলেন, তাঁদের এখানে পর্যাপ্ত জনবলের অভাব। যেসব অভিযোগ উঠেছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে সেগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিহত ওই নারীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায়। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গত শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে শ্রীপুর থেকে ভালুকায় যাওয়ার জন্য হাইওয়ে মিনিতে ওঠেন। বাসটি ভালুকার কাছাকাছি এলে ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে চালক ও চালকের দুজন সহকারী চলন্ত বাস থেকে ওই নারীকে ফেলে দেন। পরে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল বেলা ১১টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.