বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা কয়লার জাহাজ মোংলায়

0
118
ছোট লাইটার জাহাজে করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হচ্ছে আমদানি করা কয়লা। রোববার মোংলা বন্দরের পাশে পশুর নদে

কয়লাসংকটে গত মাসে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা ৩১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে একটি জাহাজ। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বন্দরের হারবাড়িয়ার ১২ নম্বর অ্যাঙ্করে নোঙর করে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস।

জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে আসে বসুন্ধরা ইমপ্রেস। জাহাজে থাকা মোট ৪৯ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন কয়লার মধ্যে চলতি মাসের ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে সেখানে ১৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে। ছোট ছোট লাইটার জাহাজে করে ওই কয়লা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়।

জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা কয়লা জাহাজটি ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে সেখানে ১৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়। বাকি ৩১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি আজ রোববার মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে ছোট লাইটারে করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র বলছে, চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া ১৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লার বিদ্যুৎকেন্দ্রে এসে পৌঁছেছে। সম্পূর্ণ কয়লা কেন্দ্রে এসে পৌঁছালে দু-এক দিনের মধ্যেই আবার বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে রামপাল।

ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারত্বে নির্মাণ করা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটি বহুল পরিচিত রামপাল তাপবিদ্যুৎ নামে। এর ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার দুটি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যায় গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর। প্রথম ইউনিটটি চালুর পর থেকে গত সাত মাসে কয়লাসংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটি মিলিয়ে সাতবার বন্ধ হয় কেন্দ্রটি। এর মধ্যে চারবার বন্ধ হয়েছিল কারিগরি ত্রুটিতে, তিনবার কয়লার অভাবে। প্রথম ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় চালু রাখতে দৈনিক প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন পড়ে। সেই হিসাবে যে পরিমাণ কয়লা এসেছে, তা দিয়ে কেন্দ্রটি ৯ দিন চালু রাখা যেতে পারে।

আর কোনো কয়লার জাহাজ আসছে কি না, জানতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনোয়ার উল আজিমের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি। তবে কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের শপিং এজেন্টের ভাষ্য, দ্রুতই কয়লার নিয়ে আরও জাহাজ আসবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.