প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন

0
105
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পাওয়ার পর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন। আজ রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে রমনা থানার এ মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালতে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, ইমতিয়াজ মাহমুদ ও প্রশান্ত কর্মকার।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী ও সুদীপ চ্যাটার্জি।

এর আগে গত বুধবার মধ্যরাতে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। রাজধানীর রমনা থানায় করা এই মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এই মামলার বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)।

২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের এক প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘ফটো কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবি ছিল একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার ১৭ মিনিটের মাথায় অসংগতিটি নজরে আসে এবং সঙ্গে সঙ্গে তা প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি সংশোধন দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিবেদনটি আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর। বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের।

এ নিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। বুধবার ভোর রাতে শামসুজ্জামানকে তাঁর সাভারের বাসা থেকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।

তাঁকে ৩০ ঘণ্টা পরে আদালতে তোলার পরে রমনা থানার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। এই মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান আজ ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পেলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.