প্রচণ্ড ধূলিঝড়ে গাড়ির সামনে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এতে গাড়ির চালককে হঠাৎ করে গাড়ির গতি অনেকটা কমিয়ে আনতে হয়। ফলে একের পর এক গাড়ি এসে একেকটির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খাচ্ছিল। এভাবে প্রায় ১০০ গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৩৭ জন।
স্থানীয় সময় সোমবার বেলা ১১টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার একটি মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এএফপি ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের
ইলিনয় অঙ্গরাজ্য পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মধ্যপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ইলিনয়ে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনের মধ্যে ৪০ থেকে ৬০টি যাত্রীবাহী গাড়ি ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ৩০টি গাড়ি। প্রচণ্ড বাতাসের কারণে মহাসড়কের পাশের কৃষিজমি থেকে প্রচুর ধুলা উড়ে আসে। সেখানে তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৫–৪৫ কিলোমিটার।
এ ঘটনায় মহাসড়কের ২৮ কিলোমিটার অংশের দুই পাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
পুলিশ জানায়, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সামান্য আহত হয়েছেন, এমন লোকও আছেন। আবার জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, এমন ব্যক্তিও আছেন। হতাহত ব্যক্তিদের বয়স ২ থেকে ৮০ বছর।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুটি ট্রাক্টর-ট্রেলারে আগুন ধরে যায়। মহাসড়কটি শিকাগো ও সেন্ট লুইসকে সংযুক্ত করেছে।
ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ধুলায় চারপাশ আচ্ছন্ন। অনেক জায়গায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। কয়েকটি গাড়িতে আগুন জ্বলছিল। কিছু গাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। সব গাড়ি একটি আরেকটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এলোপাতাড়ি অবস্থায় পড়ে আছে।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের মতে, ধূলিঝড় যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় ঘটতে পারে। তবে দক্ষিণ-পশ্চিমে সবচেয়ে বেশি হয়। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের বেন ডিউবেলবেইস বলেন, সেন্ট্রাল ইলিনয়ে এ ধরনের ঝড় খুব কম দেখা যায়।
আবহাওয়াবিদ চাক শ্যাফার আরেকটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ এলাকা খুবই সমতল। এখানে গাছ খুব কম। তিন সপ্তাহ ধরে এ এলাকায় খুবই শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করছে। কৃষকেরা সেখানে তাঁদের খেত চাষ ও বীজ রোপণ করছেন। ফলে সেখানকার মাটি অনেকটা ঝুরঝুরে ছিল।’
            

















