ধর্মঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫ হাজার স্বাস্থ্য সুরক্ষাকর্মী

0
76

যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫ হাজারের বেশি স্বাস্থ্য সুরক্ষাকর্মী গতকাল বুধবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তাঁরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অলাভজনক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা কাইজার পারমানেন্টের কর্মী। সাম্প্রতিক ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য খাতে হওয়া বড় ধরনের ধর্মঘটগুলোর একটি এটি।

গত বুধবার লস অ্যাঞ্জেলেসে ধর্মঘটে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেছেন, তাঁদের দিয়ে অনেক খাটুনি করানো হয়, কিন্তু পারিশ্রমিক দেওয়া হয় কম।

এক্স-রে টেকনিশিয়ান আমান্ডো ভেলাস্কো এএফপিকে বলেন, ‘মহামারি (করোনা মহামারি) শুরুর পর আমরা অনেক সদস্যকে হারিয়েছি এবং আমরা কখনো তাঁদের ফিরে পাব না।’

নার্স ক্যাথি লোজোয়া বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যালিফোর্নিয়ায় খরচ বেড়ে যাওয়ায় জীবন অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

লোজোয়া আরও বলেন, ‘কাইজার পারমানেন্টে কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের কোটি কোটি ডলার মুনাফা হয়েছে। সুতরাং কাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আমাদের সবার দাবি, সম্মুখসারির কর্মীদের মধ্যে যেন সে লভ্যাংশ ভাগ করে দেওয়া হয়। আমরা সবাই চাই ভালো একটি চুক্তি হোক, যেন আমরা বেঁচে থাকতে পারি।’

ফেলো নার্স স্কারলেট রোচা বলেন, কর্মীদের সংখ্যা কমে যাওয়াটা রোগীদের জন্য ভালো হবে না। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করা, ২৬ জন রোগীর বিপরীতে মাত্র একজন নার্স কোনো আদর্শ সংখ্যা হতে পারে না। এক জায়গায় অনেক রোগীকে নিয়ে কাজ করতে গেলে তা নার্সের জন্যও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না।

ধারণা করা হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, অরিগন ও ওয়াশিংটনে কাইজার পারমানেন্টের এলাকাগুলোয় তিন দিনের এ ধর্মঘটের প্রভাব পড়বে। ওয়াশিংটন, ডিসি ও ভার্জিনিয়ার কিছুসংখ্যক কর্মী ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে গেছেন।

কাইজার কর্তৃপক্ষ বলেছে, কেন্দ্রীয়ভাবে আলোচনার পথ খোলা আছে। তবে তারা বলছে, এর জন্য স্বাভাবিকের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে।

গত মঙ্গলবার কাইজারের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনা চলছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.